নারীসহ ৪ জনকে কান ধরে জনসম্মুখে উঠবস করালেন ইউপি চেয়ারম্যান

অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় নারী সহ চারজনকে জনসম্মুখে কান ধরে উঠবস করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে । এ নিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃস্টি হয়েছে। কান ধরে উঠবস করানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নে। ওই ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীসহ ৪ জনকে জনসম্মুখে কান ধরে উঠবস করিয়েছেন।
গত ২৫ এপ্রিল তিনি ওই চার ব্যক্তিকে ধরে এনে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে ইউনিয়ন পরিষদের দোতলার বারান্দায় সবার সামনে কান ধরে উঠবস করান। তবে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ওই নারী গত ২৪ এপ্রিল রংপুর থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় ওই নারীকে ভবানিগঞ্জ বদলে সোনাহার বাজারে নামিয়ে দেয় বাস চালক। পরে ওই নারী সোনাহার বাজার থেকে নুরু বাজার হয়ে করতোয়া নদী পাড় হয়ে ঝারবাড়ি যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার পর নুরু বাজারে নেমে ঘাটে যাওয়ার রাস্তা জিজ্ঞাসা করছিলেন ধনঞ্জয় নামের এক ব্যক্তির কাছে।
এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তরুণ তাদের আটক করে মারধর করে এবং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এ সময় সুরেশ ও রিয়াজুল নামে আরও ব্যক্তিকেও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। সারারাত তাদের ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে শালিস বসানো হয়। শালিসে জনসম্মুখে তাদের কান ধরে উঠবস করান চেয়ারম্যান। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ কোন অপরাধ না করলেও চেয়ারম্যান তাদের অমানবিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। আমি কোন অপরাধ না করলেও সবার সামনে আমাকে কান ধরে উঠবস করাতে বাধ্য করেছে। আমি লজ্জায় এখন বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না।
সুরেশ দাস নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার বন্ধুর ছেলে ধনঞ্জয় আমাকে ফোন দিয়ে জানায় তাকে ইউনিয়ন পরিষদে আটক করে রাখা হয়েছে। আমি তার সাথে দেখা করতে গেলে আমাকেও আটক করে মারধর করে তারা। পরে রিয়াজুলকেও এনে আটকে রাখা হয়। পরদিন সকালে আমাদের চেয়ারম্যান মারধর করে এবং কান ধরে উঠবস করাতে বাধ্য করে। আমরা এখন মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না।
এ বিষয়ে সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ব্যস্ত আছি। একটু পরে কথা বলছি। পরে তাকে বার বার ফোন দিলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমি তৃতীয় পক্ষের কাছে শুনেছি। আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে চেয়ারম্যান কাউকে এভাবে কান ধরিয়ে উঠবস করাতে পারেনা। চেয়ারম্যানের এই ক্ষমতা দেয়া হয় নি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: