ভারতের ওপাশে ধীরগতির কারনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২, ১১:১৭ পিএম

মোঃ রায়হান উদ্দীন, বেনাপোল থেকে: করোনা সংক্রমন কমে আসায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত। তবে ভারতের ওপাশে ধীরগতির কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। গেলে একমাসে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে লক্ষ্যাধিক যাত্রী যাতায়াত করেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে। করোনা সংক্রমন কমে আসায় যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে ২০ মে পর্যন্ত বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছে ৬৩ হাজার ৩৪৯ জন। আর ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে ৪৮ হাজার ৬১২ জন পাসপোর্ট যাত্রী। গেল এক মাসে দু-দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার করেছেন ১লক্ষ ১৯হাজার ৬১ জন।

তবে যাত্রীরা বৈধ সুবিধা বঞ্চিত হয়ে ভোগান্তি বেড়েছে যাতায়াতে। দির্ঘ দিন ধরে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের ধীরগতির কারণে বর্ষার সময় বৃষ্টি ভিজে দির্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভারত যেতে হচ্ছে।

ভারত ভ্রমনে নানান শর্তের কারনে এতোদিন ভারতে যাওয়া জরুরী দরকার হলেও যেতে পারেননি। তবে এখন সব শর্ত উঠে ভিসা সহজ হওয়াজ ভারতে যাচ্ছেন বেড়াতে। বাংলাদেশে ভোগান্তি কিছুটা কমলেও ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে পুলিশের জনবল কম থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে রোদ,বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। জনবল বৃদ্ধি আর যাত্রী ছাওনি তৈরী করা হলে এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

প্রতিবছর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ যাত্রীরা যাতায়াত করে। এর মধ্যে সিংহভাগ যাত্রী ভারতে যান চিকিৎসা সেবা নিতে। যাত্রী সেবা বাড়াতে ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশনে কাউন্টার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ক্যানসার ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টারে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ইমিগ্রেশনে ডেক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: