পূর্ববিরোধের জেরে পাবনায় আ’লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২২, ১১:৪০ এএম

বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের বিরোধের জেরে আব্দুল মতিন (৪২) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার চাচাতো ভাই জুয়েল রানা (৪০) আহত হয়েছেন। শনিবার রাত দশটার দিকে পাবনার সাঁথিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মতিন সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের চাচাতো ভাই। মতিন কৃষিকাজ করতেন, পাশাপাশি আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন।

আহত জুয়েল একই গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের আপন ছোট ভাই। তিনিও আ’লীগ কর্মী স্থানীয়রা জানান, নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের সাথে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মধ্যেই দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, রাতে সাঁথিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের আপন ছোট ভাই জুয়েল ও তার চাচাতো ভাই মতিন। অভিযোগ, পথিমধ্যে পৌর সদরের আউলাঘাটা ঘোনারচর নামক স্থানে ইছামতি নদীর পাড়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করে এলোপাথারী কোপায়।

এ সময় মতিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর জুয়েল ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনদের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ ও নিহত মতিনের মরদেহ উদ্ধার করে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এ বিষয়ে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, হাফিজ চেয়ারম্যারের সন্ত্রাসীরা আমার চাচাতো ভাইটাকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। মতিন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলো। আমি হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, এ হত্যাকান্ডের সাথে আমার নাম জড়ানো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমুলক। ঘটনা ঘটেছে পৌর সদরের মধ্যে। এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনিও হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: