দুর্নীতির অভিযোগে পাবনার ফরিদপুরের মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও পৌরসভার অর্থ তছরুপসহ ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

সোমবার (২০ জুন) দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগ, পাবনার উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে রবিবার (১৯ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জানান।

দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমানের দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে মোখলেছুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের স্থানীয় ব্যক্তিরা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে দুদক অভিযোগগুলো স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রেরণ করে। মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

তদন্তে বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ নির্মাণসহ বেশ কিছু অভিযোগে দুর্নীতির বিষয়টির প্রমাণ মেলে। তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৪ এপ্রিল আমি মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে গতকাল রোববার তাকে বরখাস্ত করার আদেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে সদ্য বরখাস্ত হওয়া মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমার কাজকর্ম সব দৃশ্যমান। ৪০ বছরের রাজনীতিতে ৩ বার মেয়র হয়েছি। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে, আমি দুর্নীতি করেছি। আমার দলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার মনোনয়ন বাতিলের জন্য নির্বাচনের আগে কিছু অভিযোগ দিয়েছিলো। সেই অভিযোগের বিষয়ে কোনও সত্যতা না পেলেও আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হোন। এর আগে বিএনপির দূর্গখ্যাত এই পৌরসভায় ২০১১ ও ২০১৫ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ।