বশেমুরবিপ্রবি শেখ রাসেল হলের কুককে নিয়ে নানা অভিযোগ, শাস্তি চেয়ে লিখিত

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২, ০৩:২৭ পিএম

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ রাসেল হলের কুক মাইদুল ফকিরকে নিয়ে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাস্তি চেয়ে লিখিত প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুইশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর বরাবর লিখিত দেন তারা।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, আমরা শেখ রাসেল হলের এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছি যে, উক্ত হলের কুক মাইদুল ফকির সিন্ডিকেট করে হটাৎ মিল অফ করে দেয়। মিল অফ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি ছাত্রদের সাথে অসদাচারণ করেন। তিনি প্রধান কুক মনিরের কাছে রান্না বাবদ তার বেতনের বাইরে প্রতি মাসে অতিরিক্ত টাকাও গ্রহণ করেন এবং সাপ্তাহিক বিরিয়ানি রান্না বাবদ অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা নেন। এ বিষয়ে কারণ জানতে চাইলে শেখ রাসেল হলের সহকারী প্রভোস্ট জনাব হাশেম রেজার সাথে উচ্চবাচ্চ সহ বেয়াদবি ও অসদাচরণ করেন। বর্তমানে সকল শিক্ষার্থীরা তার সাসপেনশন সহ সর্বোচ্চ বিচারের আনার দাবিতে আন্দোলনরত রয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শেখ রাসেল হলের সহকারী প্রভোস্ট জনাব হাসেম রেজা বলেন, "গত বেশ কিছুদিন যাবৎ মহিদুল ফকির মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ইস্যু বানিয়ে হলের ডাইনিং বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন এবং ১-২ বার বন্ধও করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করতেন এবং প্রধান কুক মনির ভাইকেও অনেক সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। গত ২০ তারিখ দুপুরে থেকে মহিদুল এবং মনির সিধান্ত নেন যে রাত থেকে শেখ রাসেল হলের ডাইনিং বন্ধ থাকবে। এই বিষয়ে তারা হলে প্রভোস্ট বডির কারো সাথেই কোন আলোচনা করেন নাই। আমি রাতেই প্রধান কুক মনিরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। গত ২১ তারিখে দুপুরে আমি হলে যাই এবং মহিদুলকে বলি আপনি কেন ডাইনিং বন্ধ রেখেছেন। প্রত্যুত্তরে তিনি আমাকে বলেন আমি ডাইনিং চালাবো না আপনি কি করবেন এবং উচ্চস্বরে আরো কিছু বাজে কথা বলেন। তারপর আমি সেই স্থান ত্যাগ করে হলের প্রভোস্ট রুমে অবস্থান করি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয় এবং তাকে খোঁজ করতে যায় কিন্তু পায় না কারন সে ইতোমধ্যে হল থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি আরোও বলেন, "সমস্যা সমাধানের জন্য কর্মচারী সমিতির সধারন সম্পাদক আরিফুল ভাই সেখানে গিয়ে মহিদুল কে ফোন দিয়ে যেতে বললে মহিদুল ওনার সাথেও অনেক বাজে ব্যবহার করেন সকল শিক্ষার্থীর সামনে যা ফোনের লাউড স্পিকার দেওয়া থাকাতে উপস্থিত সবাই শুনতে পান।"

এ বিষয়টি বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোরাদ হোসেন বলেন, "ইতিমধ্যে কুক মহিদুল ফকিরকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ডিসিপ্লিন্যারি কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, তার বিরুদ্ধে কি ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। "

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: