সংস্কারের অভাবে বেহাল ৪ কিলোমিটার রাস্তা

প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২২, ০৪:১৯ পিএম

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় একটি রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বক্তারনগর- গরিবপুর যাওয়ার ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি বেহাল দশা। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কটি ৬ বছর আগে ইট দ্বারা সম্প্রসারণ করা হলেও এরপর আর কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মাঝে গর্তে আটকা পড়ে যানবাহন বিকল হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনও সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে একাকার। সড়কের মাঝখানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে প্রতিনিয়ত জমছে পানি। চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। পায়ে হেঁটে চলাচল করাও এখন কষ্টসাধ্য। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এখন আবার সড়কজুড়ে কাদা পানিতে জলাবদ্ধতাও আছে কিছু কিছু অংশে। যানবাহন চলাচল করতে আর রোগী আনা নেয়ার ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটি সংস্কারে মাঝে মাঝে কিছুটা উদ্যোগ নেয়া হলেও সামান্য বৃষ্টিতেই পুরনো চেহারা ফিরে পায়। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে। আর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অর্ধ যুগ ধরে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একের পর এক চেয়ারম্যান আর মেম্বার পরিবর্তন হলেও তাদের সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও তা শুধু কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটি এখনো অবহেলিত। বৃষ্টির দিনে প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের।

জানা গেছে, সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত আশেপাশের দুটি মাধ্যমিক, দুটি উচ্চ মাধ্যমিক, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ্রাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করছে চরম দুর্ভোগে। শুষ্ক মৌসুমে কোনোরকম চলাচল করলেও বর্ষা আর বৃষ্টির দিনে চলাচল করা অসম্ভব। সড়কজুড়ে কাদা আর পানির কারণেই কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

বক্তারনগর এলাকার বাসিন্দা আহাদ ইসলাম শাওন বলেন, ‘ছোট বেলা থেকে শুনতেছি রাস্তাটি পিচ ঢালাই হবে। পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও অনেক কষ্ট হয়। কবে যে পিচ ঢালাই হইবো?’ স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আপেল মাহমুদ বলেন, ‘৬ বছর ধরে রাস্তাটি ইট দ্বারা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর কিছুদিন পরই তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে’। তিনি অতি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

অটোরিক্সা চালক জাকির হোসেন বলেন, ‘রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুঘর্টনা ঘটছে। যাত্রী আনতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। নিজের চোঁখে না দেখলে রাস্তা যে খারাপ কেউ বিশ্বাস করবো না’। এ ব্যাপারে শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমোর রহমান খান পিয়ারা বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করবেন। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার এলাকাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে লাঘব হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: