প্রথম দিনে পাবনা থেকে ঢাকা গেলো ১৫০ খাসি

প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ০৫:৫২ পিএম

প্রথমদিনে পাবনায় সাড়া ফেলতে পারেনি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। কোনো গরু না গেলেও, প্রথমদিনে পাবনা থেকে ঢাকা গেলো ১৫০টি খাসি। পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাবে পাবনা থেকে কাঙ্খিত কোরবানীর পশু পরিবহণ হচ্ছেনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বুধবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনটি রাত সাড়ে নয়টার দিকে নির্ধারিত স্টপেজ পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করেনি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এই স্টেশন থেকে কোনো পশু বুকিং হয়নি। অর্থাৎ কোনো খামারী এখান থেকে ট্রেনে ঢাকায় পশু পরিবহণে আগ্রহ দেখায়নি।

স্টেশর মাস্টার আসাদুজ্জামান বলেন, আসলে বুকিং হয় একটি ওয়াগন হিসেবে। একটি ওয়াগনে ২০টি কোরবানীযোগ্য গরু পরিবহণ করা যায়। সেখানে দু’চারটি গরুর জন্য তো পুরো ওয়াগন ভাড়া নিতে চাইবেন না কোনো খামারী বা ব্যবসায়ী। চাটমোহর থেকে ঢাকায় একটি ওয়াগন ভাড়া ৯ হাজার ২৩০ টাকা। অর্থাৎ গরু প্রতি খরচ পড়বে ৪৬২ টাকা।

আসাদুজ্জামান বলেন, প্রচার প্রচারণায় তাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। বিভিন্নভাবে খামারী ও ব্যবসায়ীদের ট্রেনে করে ঢাকায় কোরবানীর পশু পরিবহনে উৎসাহিত করেছেন। লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। তাদের আশা, পরবর্তী ট্রিপ আগামী ৮ জুলাই চাটমোহর স্টেশন থেকে একটি ওয়াগনে কোরবানীর পশু বুকিং হবে।

এদিকে চাটমোহর স্টেশন থেকে কোরবানীর পশু বুকিং না হলেও, পাশর্^বর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়ালব্রিজ স্টেশন থেকে দু’টি ওয়াগন বুকিং হয়। বড়ালব্রিজ রেলস্টেশনের বুকিং সহকারি মেহেদী হাসান মামুন বলেন, কোনো গরু বুকিং না হলেও, এ স্টেশন থেকে দু’টি ওয়াগনে ১৫০টি খাসি ঢাকায় গেছে। দ্বিতীয়দিনে আরও বেশি গরু ও খাসি বুকিং হবে বলে আশা করেন তিনি।

চাটমোহরের কলেজ শিক্ষক ইকবাল কবীর রঞ্জু বলেন, খামারী ও ব্যবসায়ীদের খরচ সাশ্রয়ের কথা চিন্তা করে সরকার ভাল একটি উদ্যোগ নিয়েছে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। কিন্তু এটি নিয়ে খামারী ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণার যথেষ্ট অভাব ছিল। যেকারণে চাটমোহর স্টেশন থেকে কোনো পশুই ঢাকায় নিতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ।

উল্লেখ্য, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা (তেঁজগাও) রুটে স্বল্প ভাড়ায় কোরবানী যোগ্য পশু পরিবহণে ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে ৫টি ওয়াগন রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে বুধবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ট্রেনটি উদ্বোধন করেন রেলওয়ের পশ্চিমের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকতা একেএম নুরল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথমদিনে ট্রেনটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৮টি গরু আর ৫টি ছাগল ঢাকায় পরিবহন করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: