ঈদ উপলক্ষে জুয়া খেলা, বাধা দেয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ময়মনসিংহে জুয়া খেলায় বাধা দেয়ায় ঋতিক মিয়া (২০) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর আগে ঋতিক তার খুনিদের নাম বলেছেন। সোমবার (১১ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঋতিক মারা যায়।নিহত ঋতিক মিয়া বাকৃবি শেষ মোড় চক ছত্রপুর নদীর পাড় এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে। ঋতিক বাকৃবিতে অস্থায়ী বাবুর্চির চাকরী করতেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ঋতিক মিয়াকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে নিহত ঋতিকের বড় ভাই শিশির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিকালের দিকে বাকৃবি শেষ মোড় চক ছত্রপুর নদীর পাড় আমাদের মুদির দোকানের পাশে টিপুর নেতৃত্বে ঈদ উপলক্ষে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবককে নিয়ে জুয়া (চাঁনধান) খেলছিল এবং চিৎকার চেচামেচি করছিল। পরে আমি, বাবা ও ঋতিক তাদের জুয়া খেলতে নিষেধ করলে তারা সবাই আমাদের মারধর করে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। ঘটনার আধা ঘন্টা পর ঋতিক চা খেতে পাশের দোকানে যায়। চা খাওয়ার সময় টিপু, জামান দল বেধে এসে ঋতিককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় ঋতিক ছুরিকাঘাতের,আঘাত নিয়ে আহত অবস্থায় হেটে হেটে আমাদের দোকানে আসে। এমতাবস্থায় আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে টিপু, জামান, শরীফ অনিক, শান্ত তাকে মেরেছে বলে জানায়। পরে হাসপাতালে অক্সিজেন লাগানোর কিছুক্ষন পরে সে মারা যায়। আমি আমার ভাইয়ের খুনিদের ফাঁসি চাই। কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি) শাহ কামাল আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে এক যুবক মারা গেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: