দুদকের আরেক মামলায় সাবেক ওসি গোলাম সারোয়ার কারাগারে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা আরেক মামলায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র স্পেশাল জজ মো: হেলাল উদ্দিনের আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবি আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজ দুদক তদন্ত ১২/২২ নম্বর মামলার জামিন আবেদন করেন।

পরে দুদকের পিপি সঞ্জীব সরকার জামিন আবেদন বাতিল করার দাবি করেন।পরে বিচারক জামিন আবেদন বাতিল করে সাবেক ওসি গোলাম সারোয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দদকের পিপি সঞ্জীব সরকার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক ওসি গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে দুদক চারটি মামলা দায়ের করেন। ওই চার মামলার তিনটিতে তিনি কারাগারে আছেন।অন্য একটিতে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্র জানায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সাল থেকে ওসি সারোয়ার ও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে তাদের দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে গড়মিল পাওয়া যায়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত তিন কোটি ৪৫ হাজার ৩৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ বিশেষ আদালতে মামলা করে দুদক। গোলাম সারোয়ার দায়িত্বে থাকার সময় মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। তার ছেলে মঞ্জুরুল হক মামুন একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ২৯ লাখ দুই হাজার ৯২৬ টাকা আয় করার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মেজো ছেলে নাজমুল হক মারুফ ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় বস্ত্র ও প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক। বাবা-ছেলে যোগসাজশে অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়। বড় ছেলে এনামুল হক মাসুম জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৭ টাকার সম্পদ অর্জন করায় তার নামে মামলা করে দুদক।