পঁচা মিষ্টি বিক্রি, দোকান মালিককে জরিমানা

ময়মনসিংহে পঁচা নষ্ট মিষ্টি বিক্রি'র অভিযোগে দোকান মালিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নগরীর চরপাড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের। বিষয় টি বিডি২৪লাইভ কে নিশ্চিত করে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের।

তিনি বলেন, গত ১১ জুলাই ঈদের পর দিন জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি নগরীর চরপাড়া মোড় 'ঢাকা মিষ্টি মুখ' দোকান থেকে ১ কেজি চমচম ২০০ টাকা ও ১ কেজি কালো জাম ২০০ টাকায় মোট ২ কেজি মিষ্টি ৪০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে। পরে মিষ্টি নিয়ে আত্মীয় বাড়ীতে যাওয়ার পর মিষ্টির প্যাকেট খুলে ছোট বাচ্চাদের দেওয়া হলে, তারা মিষ্টি মুখে নিয়ে বমি করা শুরু করে। জাকির হোসেন নিজে মিষ্টি মুখে দিয়ে দেখে মিষ্টি টক, পচা দুর্গন্ধ। দুই প্যাকেট মিষ্টির মধ্যে কয়েকটি ভালো মিষ্টি দিয়ে অধিকাংশ বাসি, টক, পচা দুর্গন্ধ যুক্ত মিষ্টি দিয়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী জাকির হোসেন এ প্রতারণার কারণে ১২ জুলাই জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে যথানিয়মে অভিযোগ করেন।সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই মিষ্টির দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। এ সময় দোকান মালিক ও কর্মচারী টক ও বাসি মিষ্টি দেওয়ার কথা স্বীকার করলে মুচলেকাসহ তাদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসাবে ৩ হাজার ৭৫০ টাকা অভিযোগকারী জাকির হোসেন কে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা।

এবিষয়ে ভোক্তা জাকির হোসেন বলেন, ঢাকা মিষ্টি মুখ' দোকান থেকে ১ কেজি চমচম ২০০ টাকা ও ১ কেজি কালো জাম ২০০ টাকায় মোট ২ কেজি মিষ্টি ৪০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে। পরে মিষ্টি নিয়ে আত্মীয় বাড়ীতে যাওয়ার পর মিষ্টির প্যাকেট খুলে ছোট বাচ্চাদের দেওয়া হলে, তারা মিষ্টি মুখে নিয়ে বমি করা শুরু করে। পরে নিয়ম অনুযায়ী ভোক্তা অধিকারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করেন।