আমি তো সেদিনই মরে গেছি, রায়ের পর সাবরিনা

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২, ০২:৩৯ পিএম

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামির ১১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন দণ্ডবিধির পৃথক তিন ধারায় এ কারাদণ্ড ঘোষণা করেন।

এ সময় আদালত থেকে বের হওয়ার সময় রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ডা. সাবরিনা বলেন, আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। একটা কথাই বলবো। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গেই আছেন। একদিন মানুষ জানবে সাবরিনার অপরাধ ছিলো না। আমার আর কিছু বলার নেই। এ

সময় এক আইনজীবী বলেন, বের হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। তখন সাবরিনা বলেন, আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে এখানে ঢোকানো হয়েছে। আমি বের হবো কি না সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো দেশবাসী জানলো আমি অপরাধী। তিনি বলেন, একদিন প্রমাণ হবে সাবরিনা নির্দোষ। আমি নির্দোষ কিন্তু দেশবাসী জানলো আমি অপরাধী। শুধু বলব, আল্লাহ একদিন এর বিচার করবেন।

এর আগে গত ২৯ জুন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ধার্য করেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস। বর্তমানে সবাই কারাগারে।

প্রসঙ্গত, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: