সম্মেলন স্থগিত, সভাপতি সবুজ সাধারণ সম্পাদক পিয়াল

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২২, ০৭:৫২ পিএম

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রুবায়েদ হুসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আনজাম পিয়াল নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২০ জুলাই) রাতে বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্লাবন এই দুই পদে তাদের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে সম্মেলনের ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সবুজ ও পিয়াল নির্বাচিত হন।

এর আগে বোদা সরকারী মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে পায়রা উড়িয়ে, দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা হয়। সম্মেলনে বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অমিয় আলম অমির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ ও রেলপথমন্ত্রী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজন। বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান রম্যর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বোদা পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি, প্রধানবক্তা হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্লাবন, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক নাঈম আশরাফ লিটু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে বোদা উপজেলার ছাত্রলীগের বর্তমান বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ১৯৪৯ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের সেবা করে গিয়েছিলেন। তিনি মানুষের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে ২১ বার জেলে গিয়েছিলেন। বতর্মান ছাত্রলীগে কোন মাদকাসক্তের স্থান নেই। ছাত্রলীগকে আরো গতিশীল হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। গত ১লা জুলাই জেলার ৫ উপজেলার ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সম্মেলনের ঘোষণা দেয় জেলা ছাত্রলীগ। সে হিসেবে বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের আয়োজন করে সম্মেলস প্রস্তুত কমিটি।

এদিকে ১৯ জুলাই রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক চিঠিতে জেলার সকল সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপরেও কেন সম্মেলন হলো এ প্রশ্নে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্লাবন বলেন, আমরা চলতি মাসের শুরুতে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করি। কিন্তু সম্মেলনের আগের দিন রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সম্মেলন স্থগিত করে চিঠি দেয়। আর সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী প্রধান অতিথি। উনাকে না জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়। এতে মন্ত্রী মহোদয়কে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। পরে মন্ত্রী মহোদয় প্রধানমন্ত্রী ও পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে কথা বলেন। তারা সম্মেলনের অনুমতি দেয়ায় সম্মেলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কেন ছিলেন না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসুস্থতা জনিত কারণে সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারেননি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: