বাজারে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ হচ্ছে

বাজারে বন্ধ হচ্ছে খোলা তেল বিক্রি। ফলে প্যাকেটজাত প্রক্রিয়া ছাড়া সয়াবিন ও পাম তেল আর পাওয়া যাবে না। এর আগে কয়েকবার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এবার বিষয়টি নিয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ৩১ জুলাই থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ হচ্ছে। খোলা পাম অয়েল বিক্রি বন্ধ হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে।

খোলা তেলে ভেজাল মেশানো সহজ। তা ছাড়া কোন পর্যায়ে সয়াবিন ও পাম অয়েলে ভেজাল মিশ্রিত হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করাও কঠিন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই খোলা তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয় কয়েক দফায় খোলা তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। খোলা তেল বিক্রি বন্ধে তিন দফায় সময় বেঁধে দেয়া হলেও নানা অজুহাতে তা বাস্তবায়ন করেনি আমদানি ও উৎপাদক সমিতি। তবে এবার আর কালক্ষেপণ চায় না শিল্প মন্ত্রণালয়।

দাম কিছুটা কম ও চাহিদা মতো নেয়া সম্ভব বলে অধিকাংশ ক্রেতা খোলা তেল কিনে থাকেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় তেল বিক্রি বন্ধ করতে চায় সরকার। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, খোলা তেলে সহজেই ভেজাল মিশ্রণ সম্ভব। আর কোন পর্যায়ে ভেজাল মিশ্রণ করা হয়েছে তা ধরাও কঠিন। এবিষয়ে সকল উৎপাদক ও পরিবেশক পর্যায়ে অবগত করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ফুড গ্রেড বোতল, প্লাস্টিক ফয়েল ও প্যাকেটে বাজারজাত নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইং উপ-সচিব হারুন অর রশিদ বলেন, ২৫০ মিলিলিটার থেকে ২০-৩০ লিটার পর্যন্ত জারে করে ভোজ্যতেল বিক্রি করা হবে। এছাড়া ছোট প্যাকেটগুলোও বাজারে থাকবে। তবে এতে তেলের দাম খুব বেশি বাড়বে না। সর্বোচ্চ ২ থেকে ৪ শতাংশ বাড়তে পারে।

নিম্ন আয়ের মানুষরা যেন স্বল্প পরিমাণে তেল কিনতে পারেন সে জন্য ছোট প্যাকেট করে বিক্রির ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর জন্য এক মাসের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে উৎপাদকদের পরামর্শও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর আগে ৩১ মের পর থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাম তেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্তই নির্ধারিত ছিল।