ভর্তিচ্ছুর জন্য হোটেল খুঁজতে গিয়ে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার রাবি শিক্ষার্থী

ভর্তি পরীক্ষার্থীর জন্য হোটেল খুঁজতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে মারধর এবং ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরীর লক্ষীপুর এলাকার আলীগঞ্জ পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর নাম দুলাল চন্দ্র। তার বাসা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায়। সে দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে আহতাবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
কুড়িগ্রাম জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়ুন আহমেদ জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষীপুর মোড়ে আবাসিক হোটেল খুঁজতে গেয়েছিল দুলাল। তখন একজন লোক এসে তাকে বলে সে হোটেলের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। এরপর ঐ লোকের সাথে রিকশায় করে সে লক্ষীপুরের পাশে আলীগঞ্জের পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছালে তিনজন ছেলে তাকে জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং তার টাকা-পয়সা মোবাইল সব কিছু নিয়ে নেয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সলীল সমাদ্দার বলেন, তাকে মাথার পিছনে মারা হয়েছে এবং হাতের কব্জিতে ব্লেডের আঘাত রয়েছে। মাথার পিছনে মারধরের আঘাত দেখে মনে হয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং সে কারণে ফুলে আছে। এই মুহুর্তে তার চিকিৎসা এখানে করা সম্ভব না বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠিয়েছি।
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। আগে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর চিকিৎসাটা জরুরী। তারপর কারা এমন করেছে, কী কারণে করেছে তা বের করা হবে।’
শাকিল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: