চবি ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আটক ৪

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ১১:৩৬ এএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মূলহোতা আজিমসহ চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৭। গতকাল শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাঁদের কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাব–৭ হাটহাজারী কোম্পানি কমান্ডার মাহফুজুর রহমান আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চারজন হলেন মেহেদী হাসান ওরফে হৃদয়, আজিম হুসেন, বাবু ও বহিরাগত শাওন। তাঁদের মধ্যে মেহেদী ও আজিম ছাত্রলীগের কর্মী। মেহেদী ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ ও আজিম ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার রাতে রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে র‍্যাব। চারজনের মধ্যে দুজন ছাত্রলীগের কর্মী। বাকি দুজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এর আগে  ১৭ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এর এক দিন পর বুধবার মামলা করেন হাটহাজারী থানায়।

অভিযুক্ত মেহেদী ও আজিম ছাত্রলীগের কর্মী বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকও। তিনি বলেন, মেহেদী ও আজিম দুজনই জুনিয়র। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মঙ্গলবার রেজাউল হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ঘটনার শিকার ছাত্রীকে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বাধা দেন। এ জন্য ঘটনার দুই দিন পর ওই ছাত্রী অভিযোগ দেন প্রক্টরের কাছে। অবশ্য রেজাউল হকের দাবি, তিনি ছাত্রীকে অভিযোগ দিতে বাধা দেননি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: