ছিনতাইকারীকে ধরিয়ে দিলেও ফোন পাননি জবি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০২:৫৫ পিএম

সানাউল্লাহ ফাহাদ, জবি থেকে: রাজধানীর কাওরান বাজারে ছিনতাইকারীকে চেপে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফোন হারিয়ে এখনো ফোন না পাওয়ায় সংবাদ সন্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। শনিবার (২৩ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সংবাদ সন্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম পারিশা আক্তার। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে মাষ্টার্সের হাতি গবেষণায় থিসিস করছেন। ফোনে গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকায় ফোনটি হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

জানা যায়, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মিরপুর থেকে বাসে পুরান ঢাকায় যাচ্ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। জানালা দিয়ে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় এক ছিনতাইকারী। তাৎক্ষণিক তিনি বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেননি। এরই মাঝে ওই শিক্ষার্থী ঘটতে দেখেন আরেক ছিনতাইয়ের ঘটনা।

এক নারীর ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছিল আরেক ছিনতাইকারী। হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। মাটিতে ফেলে নিজের মোবাইল ফোন হারানোর রাগ ঝাড়তে দেখা যায় ব্যাগ ছিনতাইকারীর উপর। এই ঘটনার সময় সেখানে বেশকিছু লোক জড়ো হয়। তাদের একজন ছিলেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ। তার সহায়তায় আটকে রাখা ছিনতাইকারীর আরেক সহযোগীকে ধরে ফেলেন ওই শিক্ষার্থী।

আটকে রাখা দুই ছিনতাইকারীসহ অভিযোগ নিতে ওই ছাত্রীকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ জানান তিনি। তার বক্তব্য, একজন ছিনতাকারীকে ধরে তার কাছ থেকে তথ্য আদায় করে আরেকজনকে ধরেছেন তিনি। দুইজন ছিনতাইকারীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরও পুলিশ তার ফোন উদ্ধার করতে পারেনি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সংবাদ সন্মেলনে বলেন, আমার ফোন যে চক্র চুরি করেছে তাদের তো পুলিশের হাতে দিয়েছি এখনো কেন ফোনটি পাচ্ছি না? আমার ফোন সেদিন রাতেও চালু হয়েছিলো এরপর অফ করে রাখা হয়। আমার ফোনটি উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: