নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিন শেষে ইলিশ আহরণে সমুদ্র যাত্রার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৮:১৭ পিএম

মাসুম বিল্লাহ, শরণখোলা (বাগেরহাট) থেকে: প্রজনন সহ দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সরকার ঘোষিত টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা। শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়া মাত্রই মৎস্য শিকারিরা নেমে পড়বেন রুপালি ইলিশের সন্ধানে। ইলিশ শিকার করে ঋণের বোঝা খালি সহ পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্নে ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করে ইলিশ সংরক্ষনের জন্য বরফ ভর্তি করছে জেলেরা। মৎস্য আড়তের মহাজনরাও হিসাব-নিকাশ নিয়ে বসে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ট্রলারগুলো নোঙর করে আছে সাগরে যাওয়ার অপেক্ষায়। ইলিশ ধরার জাল, জ্বালানি তেল, খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে শেষ প্রস্তুতি হিসাবে মাছ সংরক্ষনের জন্য বরফ ভর্তি করার প্রহর গুনছে জেলেরা। মৎস্য আড়তের মহাজনরাও হিসাব-নিকাশ নিয়ে বসে পড়েছেন।

মৎস্য আড়তদাররা জানান, অবরোধের দুই মাসে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। জেলেদের খোরাকি এবং জাল-ট্রলার মেরামত করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়েছে মহাজনদের।

বাগেরহাট জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় মৎস্য সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল হাওলাদার জানান, গভীর সাগরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত শরণখোলায় রয়েছে ৬০০ ট্রলার। এসব ট্রলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন কওে ৩০০ ট্রলার সাগরে যাওয়ার অপেক্ষা করছে। অনেক ট্রলার মোরামতের জন্য বিভিন্নডক ইয়ার্ডে রাখা আছে।

ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারী সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কিছু অসাধু জেলেরা সাগরে ইলিশ শিকার করেছে। ভবিষ্যতে সমুদ্র রক্ষায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইন প্রয়োগ এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে শরণখোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, শরণখোলার জেলেরা সফলভাবে সরকারী নিষেধাজ্ঞা পালণ করেছেন। তবে, অবরোধ চলাকালীন সময়ে কিছু ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করেছে বলে অভিযোগ শুনেছি এবং কিছু ভারতীয় ট্রলার কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: