যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যায় বগুড়ায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৩:১৮ পিএম

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বগুড়ায় মো. উজ্জল প্রামানিক নামে এক ক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। রোববার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক একেএম ফজলুল হক এই রায় দেন। এসব বিষয় নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নরেশ চন্দ্র মুখার্জি। দণ্ডপ্রাপ্ত উজ্জল বগুড়া সদরের কৈচর দক্ষিণ পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। উজ্জ্বল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে। রায়ে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চার আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। তারা হলেন- উজ্জ্বলের ভাই হিরা প্রাং, উজ্জ্বলের মা আলেয়া বেওয়া, কাহালুর আলোক্ষছত্র এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন লাবু এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগম। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ চন্দ্র মূখার্জী।

এর আগে, ২০০৬ সালের জুন মাসে উজ্জ্বলের সাথে শহরের সূত্রাপুর এলাকার আকবর আলী শেখের মেয়ে আলো বেগমের বিয়ে হয়। এতে যৌতুক হিসেবে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে উজ্জ্বলকে। পরে বিদেশ যাওয়ার জন্য উজ্জ্বল আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডাসহ শালিস হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা না দিলে আলো বেগমকে তালাক দিবে বলে উজ্জ্বল জানায় এবং আলো বেগমের পরিবার থেকে আর কোন টাকা দেয়া হবে না বলেও উজ্জ্বলকে জানিয়ে দেয়। ২০০৬ সালের ১ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে আলো বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ১৮ আগস্ট নিহত আলো বেগমের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে ৫জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রোববার দুপুরে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত আলো বেগমের স্বজনেরা জানান, আলো বেগমের বাবা-মা মারা গেলেও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় তারা মামলা পরিচালনা করে আসছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ চন্দ্র মূখার্জী জানান, ২০০৬ সালের মামলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পলাতক স্বামী উজ্জ্বলকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: