ভালুকায় ঘণবসতিপূর্ণ শিল্প এলাকায় ইকোপার্ক চায়না সাধারণ মানুষ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর ঘনবসতিপূর্ণ ও শিল্প এলাকায় প্রস্তাবিত ইকোপার্ক চায়না সাধারণ মানুষ। ঘণবসতিপূর্ণ এ শিল্প এলাকায় ইকোপার্কের প্রস্তাব করায় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে ইকোপার্ক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে, হবিরবাড়ীর সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ, তাদের দাবি ইকোপার্ক নয়, হবিরবাড়ী, জামিরদিয়া ও মনোহরপুর মৌজায় বি আর এস পর্চা দ্রুত জনগণের মাঝে বিতরণ করা হোক। উল্লেখ্য গত ১৪ জুলাই প্রস্তাবিত হবিরবাড়ী ইকোপার্ক এলাকা পরির্দশন করেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
মন্ত্রীর পরিদর্শনের পর বিষয়টি সামনে আসে সাধারণ মানুষের। এর পর পরই ক্ষুব্দ হয়ে উঠে হবিরবাড়ীর সাধারণ মানুষ। গত ১৮ জুলাই প্রস্তাবিত হবিরবাড়ী ইকোপার্ক বন্ধ ও বাপ-দাদার ভিটে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করে হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। সাধারণ মানুষের এই মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন হবিরবাড়ীর সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহা্জি আবুল কালাম আজাদ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইকোপার্ক নয় অবিলম্বে বি.আর.এস পর্চা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করতে হবে। গত শুক্রবার (২২ জুলাই) হবিরবাড়ী মধ্যপাড়া মাওরাচালা জামে মসজিদ, খিলবাড়ি পুকুরপাড় জামে মসজিদসহ প্রায় ১০ টি মসজিদে জুম্মা নামাজের পর মুসল্লিরা তাদের বাপ দাদার ভিটে মাটি রক্ষার্তে গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, দিনব্যাপী গণ-স্বাক্ষর কার্যক্রম চলে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহা্জি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরাও ইকোপার্ক চাই, তবে একটি ঘণবসতিপূর্ণ উঠতি শিল্প এলাকায় নয়। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে হবিরবাড়ীতে অবস্থিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। আমি মনে করি এই এলাকায় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কিভাবে আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্ট্রি করে বেকার সমস্যা সমাধান করা যায় এবং দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করা যায় আমাদের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
হবিরবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ বাচ্চু বলেন, প্রস্তাবিত ইকোপার্কের জমিতে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। তাদের সিএস, আরওআর ও বি আরএস মাঠ পর্চাসহ রেকর্ডিও জমি রয়েছে। এতো মানুষের বসতি নষ্ট করে সাধারণ মানুষের জমিতে ইকো পার্ক করা মনে হয় ঠিক হবেনা। তারচেয়ে বন বিভাগ যে জমি গুলোতে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে বনায়ন (পার্টিসিপেন্ট) ও গভীর শালবন রয়েছে সেসব জমি রক্ষায় ইকো পার্ক হতে পারে।
ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহা্জি আবুল কালাম আজাদ বলেন, হবিরবাড়ী ইকোপার্ক স্থাপনের প্রস্তাব কারা করেছে, কিভাবে করেছে এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অবগত নয়। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, হবিরবাড়ী, জামিরদিয়া ও মনোহরপুর মৌজায় বি আর এস পর্চা বিতরণ রহস্যজনক কারনে বন্ধ রয়েছে। বি আর এস পর্চা জমির মালিকদের মাঝে বিতরণের জন্য স্থানীয় সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ইতিমধ্যে সংসদে প্রস্তাব করেছেন।
যেখানে বিআরএস পর্চা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে, সেখানে বি.আর.এস পর্চা বিতরণ বন্ধ রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইকোপার্কের প্রস্তাব একটি নীল নকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ঘণবসতিপূর্ণ শিল্পএলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির পায়তারা করা হচ্ছে। হবিরবাড়ীর সাধারণ মানুষের বক্তব্য, আমাদের বাপ-দাদারা প্রায় শত বছর পূর্বে হবিরবাড়িতে বসবাস শুরু করেন। আমাদের বাপ-দাদাদের কবর রয়েছে এখানে। আমরা কবরস্থানে ইকোপার্ক চাইনা।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: