শেখ হাসিনার উন্নয়ন ইতিহাস হয়ে থাকবে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২, ১২:০৯ এএম

মোহাম্মদ আবির আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়া-এরশাদ-খালেদার শাসনামলের সবকিছু যোগ করলেও শেখ হাসিনার উন্নয়নের সমান হবে না। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন ইতিহাস হয়ে থাকবে। রবিবার (২৪ জুলাই) ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে রাঙ্গামাটিতে নবনির্মিত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, রাঙ্গামাটিতে যে আদালত ভবন উদ্বোধন করা হলো তা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের একটি খণ্ডচিত্র মাত্র। বর্তমানে বাংলাদেশের এমন কোন সেক্টর খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে তাঁর সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এটি নিছক মুখের কথা নয়। উন্নয়নের তথ্য-পরিসংখ্যান তাই বলে।

তিনি আরোও বলেন বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের, যেখানে বিচারপ্রার্থী জনগণ ভোগান্তিহীনভাবে দ্রত ন্যায়বিচার পাবেন। তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বেশকিছু সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছে। যার অন্যতম উদাহরণ ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাঙ্গামাটি সিজেএম আদালত ভবন। এ ভবনের নির্মাণ ব্যয়, নির্মাণ শৈলী, আয়তন এবং সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করলে নিশ্চয়ই বলা যায় এটি একটি অত্যাধুনিক স্থাপনা। এই স্থাপনা অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

মন্ত্রী বলেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর স্থান সংকুলানের জন্য সরকার প্রত্যেক জেলা শহরে আট বা দশতলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর প্রথম পর্যায়ে ২,৪৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২টি জেলায় সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৩টি জেলায় নির্মিত সিজেএম আদালত ভবন ইতোমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। অবশিষ্ট জেলাগুলোতে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশনে আইনি পদক্ষেপসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তন- বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের সুফল জনগণ ইতোমধ্যেই পেতে শুরু করেছে। তদুপরি স্বপ্নের ডিজিটাল বিচার বিভাগ বির্নিমাণে আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পুরো বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার জন্য ২২০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ালি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক বিকাশ কুমার সাহা, রাঙ্গামাটির জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: