জায়গা সংকট কুবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৬:৩১ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আসন ও কর্তৃপক্ষের নতুন বই রাখার জন্য জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রয়কৃত বই রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে লাইব্রেরির শিক্ষক কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব বই।

লাইব্রেরি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগের ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ক্রয় করা হয়। সর্বশেষ অর্থবছরের বাজেট থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার বই ক্রয় করা হয়ছে। তবে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে বইগুলোর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না এবং লাইব্রেরিতে ছোট পরিসরে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। এছাড়া ২০১১ সাল থেকে লাইব্রেরির একটা অংশ ল্যাব হিসাবে ব্যবহার করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগ।

শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বই নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য নেই কোন রুম। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে বিভিন্ন জায়গায় বসে পড়াশোনা করতে দেখা যায়। অনেকদিন যাবত শিক্ষার্থীদের দাবি আলাদা একটা রিডিং রুম, যাতে নিজেদের বই নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে।

লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। এই নিয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমাদের লাইব্রেরিতে ব্যক্তিগত বই নিয়ে ঢুকতে পারলে একাডেমিক পড়াশোনা পাশাপাশি চাকুরী পরিক্ষা প্রস্তুতি নিতে অনেক সুবিধা হতো। পড়াশোনা করার জন্য যে পরিবেশ দরকার সেটা রিডিং রুম বা লাইব্রেরিতে হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমাদের কোন আলাদা রিডিং রুম নাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বই নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা আলাদা রিডিং রুম খুব দরকার। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু জায়গা সংকট হওয়ার কারণে এটা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা আবারও চেষ্টা করে দেখব। একটা রুম দেওয়ার জন্য।

ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মহিউদ্দিন মোহাম্মদ তারিক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। একটা রিডিং রুম শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক দরকার। এছাড়া আমাদের নতুন বই রাখার মত জায়গা নেই। যদি আমরা নতুন কোন রুম পাই তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধু কর্নার সম্প্রসারিত করব এবং লাইব্রেরি আসা নতুন বইগুলো রাখার জায়গা হবে। ফলে লাইব্রেরি আরও প্রসারিত হবে। এই নিয়ে আমরা উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছি কিন্তু কোন ফলাফল হয়নি।

উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা এই বিষয়ে লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। যদি বই রাখার জায়গা সংকট দেখা যায় তাহলে যে বইগুলো কপি বেশি সেইগুলো কমায় দেওয়া চেষ্টা করব। তবুও যদি জায়গা সংকট থাকে তাহলে আমরা ল্যাবের রুম বিষয়ে কথা বলব।

এই নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, আমরা লাইব্রেরীর জায়গা সংকট নিয়ে কাজ করছি। খুব দ্রুত ঐ বিভাগের সাথে কথা বলে লাইব্রেরির জায়গা সংকট নিরসনের ব্যবস্থা করব। যাতে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে পারে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: