আখাউড়ায় বিদ্যালয়ে সন্ধ্যা নামলেই বসে মাদকসেবীদের আড্ডা

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২, ০৮:৩৫ এএম

মোহাম্মদ আবির, আখাউড়া থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উত্তর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্ধ্যা নামলেই বসে মাদক সেবনকারী ও মাদক বিক্রেতাদের আড্ডা। এলাকায় বসবাসের জন্য চরম ঝুকি বাড়ছে এ মাদক সেবনকারীদের জন্য ।

জানা যায়, আনোয়ারপুর গ্রাম সীমান্ত ঘেঁষা বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই মানুষের চলাচলে আসে মন্থর গতি, অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারদিক আর সেই সুযোগ মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীরা সক্রিয় হয় অত্র বিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকায়।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুটি ভবন রয়েছে এর মধ্যে একটি ভবন পরিত্যক্ত। পাশাপশি ৪ টি টয়লেট রয়েছে যার মধ্যে ২ টি টয়লেট পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এই পরিত্যক্ত ভবন আর টয়লেটগুলোর পাশাপাশি সেফটি ট্যাংক এর ভেতরে শতশত ফেনসিডিলের খালি বোতল পড়ে আছে। ফেনসিডিল এর পাশাপাশি ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি ও পড়ে থাকতে দেখে যায়। মাদক সেবনকারিদের সুবিধার্থে বিছানা বিছানো রয়েছে পরিত্যক্ত টয়লেটে।

রাত শেষে ফের যখন সকাল হয় ক্লাসের সময় হয় তখন শিক্ষকরা মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাদকদ্রব্যের খালি বোতলগুলো শিক্ষার্থীদের চোখের আড়াল করতে সরিয়ে রাখেন। এর থেকে মুক্তি চেয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌসী বলেন এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ সদস্যদের কে অবহিত করেছি। তারা বলেছে বিষয় টা দেখবে। সকলকে সামাজিকভাবে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

আখাউড়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন এটাতো একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়, যেহেতু বিদ্যালয় টা বর্ডার এলাকায় ভারতের সীমানা ঘেঁষা অবস্থায়। আমাদের শিক্ষকরা সেখানে চারটার পর ছুটি দিয়ে চলে আসে, তখন সেই পরিবেশটা নিরিবিলি হয়ে যায়। তখন এই জাতীয় যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে, ইতিপূর্বে আমি সেই বিষয়ে জানি নাই। যেহেতু ফেনসিডিলের বোতলগুলো পরিত্যক্ত টয়লেট এবং সেফটি ট্যাংকের মধ্যে পাওয়া গেছে তাহলে বুঝা যায় এখানে মাদক ব্যবহার হয় এটা আমি উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করব।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ হেডমাস্টার সাহেব বলেছেন, আমি এই বিষয়ে জানলাম এটা যাতে না হয়, এটা প্রতিরোধের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, আমরা তো গত কালকে রাতে অভিযানে গেছি এমন কিছু পাইনি সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সহ প্রশাসনকে বিষয় টা নির্দেশনা দেওয়া আছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: