এবার প্রেমের টানে প্যারিস থেকে ছুটে এলেন ফরাসি নারী

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২২, ১০:২৩ এএম

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অনলাইন প্লাটফর্মে পরিচয় থেকে বন্ধুত্বের সূত্রপাত। ধীরে ধীরে সেটিই গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। আর এই প্রেমের টানেই এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী এক যুবকের কাছে ছুটে এসেছেন ফ্রান্সের এক নারী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এমন তথ্যই জানিয়েছে আনন্দবাজারসহ কলকাতার একাধিক সংবাদমাধ্যম।

ভালোবাসার জন্য ভারতে ছুটে আসা ফ্রান্সের ওই নারীর নাম প্যাট্রিসিয়া ব্যারোটা। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা কুন্তল ভট্টাচার্যের কাছে এসেছেন তিনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বিয়ে হয়নি তাদের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পেশাগত কারণে আগে রাজধানী দিল্লিতে থাকতেন পাণ্ডুয়ার সারদা পল্লির বাসিন্দা কুন্তল ভট্টাচার্য। করোনা মহামারি কারণে লকডাউনের সময় পাণ্ডুয়ায় চলে আসেন তিনি। তবে দিল্লিতে থাকার সময়ই কুন্তলের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় ফরাসি নারী প্যাট্রিসিয়ার। এরপর নেটমাধ্যমেই কথা বলা, ভিডিও কলিং থেকে সেই সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়।

হঠাৎ করেই দিন দশেক আগে নয়াদিল্লি পৌঁছে কুন্তলকে চমকে দেন প্যাট্রিসিয়া। কুন্তলের কথায়, ‘(প্যাট্রিসিয়া) আমাকে ফোন করে দিল্লিতে আসার কথা জানায়। আমিও বললাম, পরের ফ্লাইটে করে কলকাতায় চলে এসো।’ সেই মতোই দিল্লি থেকে প্লেনে করে কলকাতা পৌঁছান প্যাট্রিসিয়া। কুন্তলও সময় মতো কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে বান্ধবীকে সঙ্গে করে পাণ্ডুয়া নিয়ে আসেন।

আপাতত প্যাট্রিসিয়া পাণ্ডুয়ায় তার পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুন্তল। তবে এখনও সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে হয়নি তাদের। তবে লিভ-ইন করছেন তারা। তার দাবি, ‘সামাজিক ভাবে বিয়ে না হলেও মনে মনে বিয়ে হয়ে গেছে আমাদের।’ পাণ্ডুয়ার এই যুবক জানান, তাকে রীতিমত চমকে গিয়ে গত ১৩ জুলাই দিল্লি পৌঁছান প্যাট্রিসিয়া। বিমানবন্দর থেকে জানান, ভারতে এসেছেন। দিল্লি থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে হাওড়া, সেখান থেকে বাসে পাণ্ডুয়া। এক নতুন জীবন প্যাট্রিসিয়ার।

মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না? কুন্তলের বক্তব্য, মনের মিল বলেই হয়তো সবটা মসৃণ। অপরদিকে বিদেশি বউকে মেনে নিয়েছেন পাণ্ডুয়ার ভট্টাচার্য পরিবার। সেখানেই থাকছেন প্যাট্রিসিয়া।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: