১১ মাসের শিশু উদ্ধারে প্রশংসায় ভাসছেন ওসি

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২২, ১০:৪১ পিএম

নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জে ১১ মাসের শিশু আল আমিনকে হারিয়ে পিতা সামছুর উদ্দিন থানায় জিডি করেন।অনেক খোঁজাখুজিঁ করে পান নি বুকের ধন শিশু ছেলেকে। অবশেষে এমন সময় জানলেন কোম্পানীগঞ্জ (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান শিশু আল আমিনকে পেয়ে মাইকিং করছেন শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজে।হারানোর ৪৮ ঘন্টা পর সন্তানকে বুকে পেয়ে কেঁদে দিলেন সামছুর উদ্দিন।বললেন,আল্লাহ আপনার ভাল করুক।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুকে মা-বাবার কোলে তুলে দিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান।

কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) উপজেলার ডাকবাংলার সামনে একটি শিশুকে কুড়িয়ে পান ওসি মো. সাদেকুর রহমান। এরপর শিশুটিকে নিজের কাছে রেখেছেন পরম যত্নে। অন্যদিকে মাইকিং করছেন শিশুর বাবা-মাকে খোঁজার জন্য।

পরে জানতে পারেন সুধারাম মডেল থানায় শিশু হারিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল মালেকের ছেলে সামছুর উদ্দিন। সেই তথ্য অনুযায়ী শিশুর বাবাকে ফোন করে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান।

শিশুকে পেয়ে সামছুর উদ্দিন বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমার স্ত্রী খলিল মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় শিশু আল আমিন হারিয়ে যায়। তারপর আমি গত ২৭ জুলাই সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি লিখি। আজ আমার আল আমিনকে ফিরে পেয়েছি। পুলিশের প্রতি আমি চির ঋণী হয়ে গেলাম। সারাজীবন আমি মনে রাখবো।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সাদেকুর রহমান। নুর উদ্দিন মুরাদ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। সকলের চেষ্টায় আল আমিন ফিরলো তার মায়ের কোলে। বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমানকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।পুলিশ জনগণের বন্ধু এটাই তার প্রমাণ।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বিডি২৪লাইভকে বলেন,হারানো শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজের কাছেই অনেক ভালো লাগছে।আমি আনন্দিত। আমি শিশুটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম (পিপিএম) বিডি২৪লাইভকে বলেন, পুলিশ মানুষের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে রাতদিন কাজ করে।এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ।তবে অভিভাবকদের আরোও সচেতন হতে হবে।ছেলে-মেয়েরা কখন কি করছে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখতে হবে।এ সময় তিনি সবাইকে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: