প্রধানমন্ত্রীর কাছে সন্তান হত্যার বিচার চাইলেন বুলবুলের মা

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৯:৫২ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে হত্যার বিচার চেয়েছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নিহত শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের মা ইয়াছমিন বেগম। আজ রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ছেলের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিতে এসে তার স্মৃতি মনে করে এ কথা বলেন তিনি।

নিহত বুলবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি নরসিংদী সদরের চিনিশপুরম নন্দীপাড়া গ্রামে। বুলবুলের মা ইয়াছমিন বেগম বলেন, আজকে যদি আমার ছেলে ঝালমুড়িও বেচতো তাইলে কি মারা যেত, কেউ কি মার্ডার করতো? এখনো তদন্ত ভালো করে হয়নি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে খুব ভালো ছিল। তাকে কেন ওরা মারলো? আমার ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।

বুলবুলের বোন সোহাগী আক্তার বলেন, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমরা চাই ওদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হোক। রিমান্ডে নিলে ওরা সত্য কথা বলবে। আমার ভাইকে হত্যার সঠিক বিচার চাই। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ওদের বিচার করা হোক। মালপত্র হস্তান্তরের বিষয়ে শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, বুলবুলের পরিবারের সদস্যরা হলে এসেছেন। তার মালপত্র তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় তার সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি পুলিশের কাছে আছে। এগুলো সিজ করা হয়েছে। মালামাল হস্তান্তরকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, সহকারী প্রভোস্ট কৌশিক সাহা, মো. মেহেদী হাসান নাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ দেব বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় বুলবুলের মোবাইল ফোন ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। সেটা আসামি কামরুলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। সেটা সিজ করা হয়েছে। এখন তার মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি সিজ করা হয়েছে। এগুলো নিতে হলে তার পরিবারকে আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে। আদালতে আবেদন করলে পরবর্তীকালে তাদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করা হবে। মামলার অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, এখনো তদন্ত চলছে। ভালোভাবে তদন্ত করার পর আমরা চার্জশিট দেবো। যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা এখন কারাগারে আছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই শাবিপ্রবির অভ্যন্তরে গাজীকালুর টিলায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। ওইদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আবুল হোসেন নামে একজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। সেইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও দুইজনের নাম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কামরুল আহমদ ও মো. হাসান নামের ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে প্রথমে আবুল হোসেন এবং পরে বাকি দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: