তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে

প্রকাশিত: ০১ আগষ্ট ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম

ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১ আগস্ট) বিকেল ৬ টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ৫২.৮৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২.৬০) যা বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম তিস্তা পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আগামী ২৪ ঘন্টায় ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতকাল রবিবার বিপৎসীমার ২২ সে.মি. নিচে পানি প্রবাহিত হলেও আজ সোমবার দুপুর বারোটায় বিপৎসীমার ২ সে.মি. নিচে ও বিকেল তিনটায় ১০ সে. মি. ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় নিজেদের সবটুকু গুছিয়ে নিচ্ছেন নদী পারের মানুষ। এই বছরে চতুর্থ দফা বন্যায় জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও ভাটি এলাকায় রাত নাগাদ পানির প্রবাহ চলে আসবে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে তাদের।

লালমনিরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেমি ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি আরও বাড়তে পারে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: