আশুলিয়ায় প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে মারধর: আহত-৩

প্রকাশিত: ০১ আগষ্ট ২০২২, ১১:১০ পিএম

সাভারের আশুলিয়ায় প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেমিকসহ ৩ জনকে মেরে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দেলোয়ার মীর ও তার ছেলে অন্তর মীর, শাহেদ মীরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রেমিকসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে আশুলিয়ার মীরবাড়ি দরগারপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জামগড়া মীরবাড়ী সাকিনস্থ জনৈক সাত্তার মীরের বাসার ভাড়াটিয়া ফয়সাল মিয়া এবং সাবরিনা জাহান কেয়া দ্বয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরিয়া গত ৩০.০৭.২২ তারিখে বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে দেলোয়ার মীরও তার ছেলোহ দুই থেকে ৩ জন লাঠি সোটা,লোহার রড,রাম দা ইত্যাদি নিয়ে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে সাত্তার মীরের বাড়িতে অনাধিকার খাঁটিয়ে প্রবেশ করে ভাড়াটিয়া ফয়সাল মিয়াকে বাহিরে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা প্রদান করিলে তারা সাত্তার মীরের বাড়ির ম্যানেজার শাহিনকে বেদম মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে।

পরে জোরপূর্বক ফয়সাল মিয়াকে টেনে হিঁচড়ে ভাড়াকৃত বাসা হইতে ৭০ ফিট পূর্বে মান্নান হুজুরের মার্কেটে নিয়ে মারধর করে আটকিয়ে রাখে। তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন আর সেই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আবারো বেদম এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এই সংবাদ পেয়ে সাত্তার মীরের ভাগিনা কাউছার মোল্লা ঘটনাস্থলে আসলে তাহাকেও মারধর করা হয়। সেদিন রাত আনুমানিক ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে কাউছার মোল্লার ম্যানেজার সবুজ তার বাড়ির ভাড়াকৃত বাসা থেকে যাওয়ার পথে শিমুলতলা দরগার পাড় শহীদ এর বাড়ির সামনে পৌছালে বর্ণিত ঐ ঘটনার জের ধরে সবুজের পথরোধ করে গালিগালাজ করে তাকে আটকিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট করে।

এ সময় ১নং অভিযুক্ত অন্তর মীরের হাতে থাকা রাম দা দিয়ে সজোরে মাথায় কুপ দিলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাম চোখের নিচে লাগলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় তারা সবুজের প্যান্টের পকেট থেকে নগদ দুই লক্ষ ২৬ হাজার টাকা ও একটি ভিভো মডেলের একটি এনড্রোয়েট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লোকজনের সহায়তায় সবুজকে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্তরা হলেনঃ দেলোয়ার মীর (৫০) অন্তর মীর(২৩) ফরহাদ (২০) শাহেদ মীর (২৫) দেলোয়ার মীর, মোসাদ্দেক (২৭) তুষার মীর (৫০) আন্না বেগম (৩৫)।

আহত কাউছার মোল্লার বাড়ির ম্যানেজার সবুজ বলেন, প্রেমের একটা ঘটনায় বাড়ির ভারাটিয়াকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে মারধরের খবর পেয়ে ভাড়া টিয়াকে উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয় দেলোয়ার মীরের ছেলে অন্তর মীর ও সাহেদ মীর আমাকে মারধর করে। এসময় তাদের মারধরে সবুজের বাম চোখে মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ধাররাই হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদিকে মারধরের শিকার ফয়সাল জানান, আমার সাথে আমাদের বাসার সাবরিনা জাহান কেয়া সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরে এই প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে সেদিন রাতে অন্তর মীর ও সাহেদ মীর তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এসময় তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে দেলোয়ার মীরের ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী বলেন, মারামারি ঘটনায় আগে একটা এজহার দেওয়া ছিলো। সেটার তদন্তের দ্বায়িত্বে ছিলেন এসআই মাসুদ। সে এসপি অফিসে যাওয়ায় তার পরিবর্তে আমাকে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থালে। সেখানে নতুন কোন সংঘাত ঘটেনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: