ইভিএমে না, সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখছে অধিকাংশ দল

প্রকাশিত: ০২ আগষ্ট ২০২২, ০৪:৪১ পিএম

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে অংশ নিয়ে ইভিএমে না, সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখছে অধিকাংশ দল।জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৭ জুলাই যে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে তা ৩১ জুলাই শেষে ২৮ দলের মতামত পেয়েছে ইসি।

ধারাবাহিক সংলাপের শেষ দিনে সমাপনী বক্তব্যে সিইসি বলেন, সংলাপে কিছু বিষয় ওঠে এসেছে। অনেক পার্টি মনে করছেন একদিনে নির্বাচন করা সীমিচিন হবে না। ভারতের মতো পৃথক দিনে হওয়া উচিত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপ্রতুলতা কথা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অনেকে বলেছেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য। সেনাবাহিনীর জনমানুষের প্রতি আস্থা অনেক বেশি বলে তারা মনে করছেন। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আরেকটা বিষয়ে সংকট থেকে যাবে, সেটা হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ইভিএম নিয়ে পক্ষেবিপক্ষে সমর্থন পেয়েছি। অধিকাংশ দল ইভিএম বিশ্বাস করছে না। এর ভেতরে কি জানি একটা আছে। ইভিএম নিয়ে আমাদের যে অনুভূতি আমরা ব্যবহার করেছি। ফলাফল ৭১ শতাংশ পর্যন্ত ভোট কাস্ট করেছে। কিন্তু কথা বলেছি আমরাও অনেককেই আস্থায় আনতে পারছি না। না কিছু একটা আছে। ইভিএম একটা সহযোগিতা চাইবো, যে একটা সংকট থাকবে। আমরা সিদ্ধান্ত নেবো স্বাধীনভাবে। কিন্তু পুরোপুরি ঐক্যমত নেই।

তিনি বলেছে,সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ২৮টি দল প্রায় ৩শ’টি অধিক প্রস্তাব রেখেছে কমিশনের কাছে। বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপে যায় নি। নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মধ্যে একটি দল নির্ধারিত সময়ে সংলাপ করতে না পারায় নতুন করে সূচি চেয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ইতোমধ্যে বলেছেন, সব দলের প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্যে পর্যালোচনা করবেন। অংশগ্রহণমূলক ভোটের প্রত্যাশা করেন কমিশন। সেই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যাবতীয় পদক্ষেপ নেবেন এবং আইন-বিধির প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন।

এরপর সংলাপে পাওয়া প্রস্তাবগুলো দলীয় প্রধানদের কাছেও পাঠানোর পাশাপাশি সরকারের কাছেও পৌঁছে দেবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। কাজী হাবিবুল আউয়াল সংলাপের শেষ দিকে আশ্বস্ত করেছেন, সংলাপ শেষে দলগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে, দলের প্রধানের কাছে সারসংক্ষেপ কমিশন পাঠিয়ে দেবে। নির্বাচনকালীন সরকার এ সরকারই করতে পারবে। সংবিধানে আমাদের যেকেবিনেট ফরমেশনটা রয়েছে; মেসেজগুলো সরকারের কাছে পৌঁছে দেব।

রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রস্তাব সরকারকে দেওয়ার পরামর্শও দেন সিইসি। বর্তমান মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে না, নতজানু হয়ে না, মেরুদণ্ড শক্ত রেখেই চেষ্টা করব বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালনে সহায়তা চেয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, “জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান খুব সহজ নয়। কঠিন দায়িত্বটা অনেক কষ্ট, সাধনা ও সাহসিকার সাথে পালন করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা থাকলে কাজটা যতই কঠিন হোক-জটিল হোক, আমরা সম্মিলিতভাবে সুসম্পন্ন করতে সক্ষম হব।”

দলগুলোর যত প্রস্তাব বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ১১ দফা প্রস্তাব : সংসদ নির্বাচন ২/৩ ধাপে করা যেতে পারে; যেন প্রতি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা যায়। সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম; ১৫০ আসনে ব্যালট পেপার এবং স্থানীয় নির্বাচনে শতভাগ ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্বাচনী ব্যয় ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ন্যাপের ১১ দফা প্রস্তাব: দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি; প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধিত্ব, তফসিল ঘোষণার পর সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, সংসদে ইভিএম ব্যবহার না করার প্রস্তাব রয়েছে।

গণফোরামের ১০ প্রস্তাব : নির্বাচনেকালে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রত্যেক আসনে সব প্রার্থীদের জন্য প্রজেনশন সভার সুপারিশ। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ : নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রশাসন দল নিরপেক্ষ না হলে কোনোভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। জন আস্থা তৈরি ও ইসির দায়িত্ব পালনে মেরুদণ্ড শক্ত করে ভূমিকা নিতে হবে। জাকের পার্টির ৪ প্রস্তাব : দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধ; ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার পক্ষে মত দেয় দলটি।

এনপিপি’র ১৬ প্রস্তাব :স্বল্প সংখ্যক আসনে ইভিএম ব্যবহার, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা, প্রার্থীদের জামানত বাড়ানো, বিনামূল্যে ভোটার তালিকা সরবরাহ, নিবন্ধিত দলের ৩ বছরের সক্রিয়দের প্রার্থী করার প্রস্তাব। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের ৭ দফা প্রস্তাব : সবকেন্দ্রে ইভিএম, প্রতি কেন্দ্রে অন্তত জন করে সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়োগের প্রস্তাব করেছে দলটি। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ১১ দফা :নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন, স্বরাষ্ট্র ও জন প্রশাসন ইসির অধীনে ন্যস্ত, সব আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার, ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধহীন দলের নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১২ দফা প্রস্তাব :সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন; নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে ন্যস্ত; আনুপাতির প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা, ত্রুটি দুর করে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব রয়েছে দলটির। বাংলাদেশ মুসলীম লীগের ১৯ দফা: ভোটের তিন মাস আগে সংসদ বিলুপ্ত করা, ইভিএম ব্যবহার না করা, ‘না’ ভোট পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করেছে দলটি। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৯ দফা: প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা না করে নিজস্ব লোকবল নিয়োগ, তিন দফায় ভোট করা, ইভিএমের যান্ত্রিক ত্রুটি-জটিলতা নিরসনের প্রস্তাব করেছে।

জাসদ : সংধিান অনুযায়ী নির্বাচন, ইসিকে রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো, অসাংবিধানিক দাবিকে প্রশয় না দেওয়া, বিদেশি কূটনৈতিকদের অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেওয়া, প্রশাসনের কাজে প্রতিরক্ষাবাহিনীকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে ব্যবহারসহ ১২ দফা পরামর্শ দেয় দলটি। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪০ দফা: জন প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে ন্যস্ত, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া, সংরক্ষিত মহিলা আসন বিলুপ্ত করা, ইভিএম ব্যবহার না করা, সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন, ‘না’ ভোট চালু, দলের সব কমিটিতে ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা বিলুপ্ত করার দাবি করে দলটি।

গণফ্রন্ট :সংসদের আসন সংখ্যা ৩৫০/৪৫০ করা, এক পোস্টার এক মঞ্চে প্রচার, দলগুলোকে আর্থিক অনুদান, নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক সরকার, স্বল্প পরিসরে ইভিএম চালুসহ ২২ দফা পরামর্শ দিয়েছে দলটি। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১৩ দফা :নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠন, ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা, বিভাগওয়ারি নির্বাচন, ইভিএম চালু স্বল্প পরিসরে, ‘না’ ভোট চালুর সুপারিশ করেছে।

গণতন্ত্রী পার্টির ৫ দফা :ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ, ইভিএমর ব্যবহারের পক্ষে মত দেয় দলটি। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) এর ৯ দফা :ইভিএমে ভোট, নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ, টাকার খেলা বন্ধ করা, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের বিষয়ে দলটির সুপারিশ রয়েছে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস-এর ১৫ দফা :স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে ন্যস্ত করা, ভোটের ৭ দিন আগে সেনা মোতায়েন, তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, ব্যালট পেপারে ভোট করা, ভোট কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) ১১ দফা: নির্বাচনকালীন সরকারের আকার সীমিত করা, ৩০ জনের বেশি প্রার্থী দিলে বেতার-টিভিতে প্রচারের সুযোগ, আস্থা অর্জন করে ইভিএমের ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট :সাংবিধানকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার, জাতীয় পরিষদ গঠনের প্রস্তাব দলটির। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০ দফা :নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, দল নিবন্ধনের শর্ত সহজ করা, নির্বাচনী ব্যয় মাত্র ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ, ‘না’ ভোট চালুর প্রস্তাব করেছে দলটি। খেলাফত মজলিশের ৪ দফা :নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, ইভিএমের ব্যবহার না করা, প্রতিটি বুথে সিটিটিভি ক্যামেরা, সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ করেছে দলটি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৯ দফা :পাঁচটি মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে রাখা, জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা, ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া, ৩৩% নারী নেতৃত্বে বিধান সংশোধনের সুপারিশ দলটির।

বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর ১৬ দফা :নির্বাচনের সময়ে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে রাখা, তফসিল ঘোষণার পর জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রীপরিষদ কার্যকর থাকবে না, ওই সময়ে যে সরকার থাকবে তা ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করেছে দলটি। বিএনএফ :দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচন হবে ইসির অধীনে হ। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহায়তা করার কথা বলা রয়েছে। এনডিএম-এর ১৩ দফা সুপারিশ :জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাধিক দিনে ভোটগ্রহণ, নির্বাহী বিভাগ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার প্রস্তাব করে দলটি।

আওয়ামী লীগ-এর ১৪ দফা সুপারিশ : বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পরিবর্তে প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে ইসির অধীনে ন্যস্ত করাসহ ১৪ দফা দাবি তুলেছে দলটি। জাতীয় পার্টি - এর ৪ দফা সুপারিশ: নির্বাচনী খরচ বাবদ একজন প্রার্থীর ২৫ লক্ষ টাকা পরিবর্তন করে ৫০ লক্ষ টাকা করতে হবে। ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৮টি দল সংলাপে অংশ নেয়।

তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি বাসদ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জেএসডি, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি, বিজেপি ও বিএনপি । ইসির ডাকে সাড়া দিয়েছে ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছে। অর্থাৎ ২৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। আগস্টের পরে সংলাপের জন্য সময় দিতে পারবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টি-জেপি। আর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে পরবর্তীতে সময় চেয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: