জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি, থানায় মামলা
সানাউল্লাহ ফাহাদ, জবি থেকে: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্থগিত ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের দুই গ্রুপে প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন গুরুতর আহত হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন। নথি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে এ মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজীর গ্রুপের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওশের বিন আলম ডেভিড, একই শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের জাহিদুল ইসলাম হাসান ও পরিসংখ্যান বিভাগের অর্পন সাহা শান্তসহ আরো ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত নামে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান মুন গত ৩ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ক্লাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে আসলে এক নাম্বার আসামি নওশের বিন আলম ডেভিড জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইটের সামনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম হাসানসহ আরো ৪ থেকে ৫ জন মিলে ডেভিডের প্রেমিকার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলাকে কেন্দ্র করে অতর্কিতভাবে মুনের উপর হামলা করে। পরে ওইদিন দুপুর ১ টায় মুন তার বন্ধুদের নিয়ে কোতয়ালী থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে আসামি ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম ও অর্পন সাহা শান্তসহ ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোঠা নিয়ে পুনরায় মুনসহ তার বন্ধুদের উপর হামলা করে মারধর করে।
এছাড়া ওই দিনই রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে ফের মেহেদী হাসান মুনের উপর অর্পন সাহা শান্তসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন মিলে ধারালো চাকু ও হাতুরি দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে মুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ১ জুন জবি ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটি স্থগিত হওয়ার পেছনে ক্যাম্পাসের সকল টেন্ডার সভাপতি ইব্রাহীম ও সাধারণ সম্পাদক আকতারের নিয়ন্ত্রণে রাখা, মীর কাশেমের প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার দেয়া, রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভারকে মারধর, নারী কেলেঙ্কারি ও চাঁদাবাজিকে দুষছেন অন্যান্য পদধারী নেতারা।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: