কুমিল্লায় ব্যবসায়ীসহ ৮ জনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, ইউপি মেম্বার গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ০৬ আগষ্ট ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যবসায়ী সহ ৮ জনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানসহ ১৯ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন আহত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ডিলার। অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকায় ওই ইউপি মেম্বারকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। শনিবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ডিলার একটি হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজির একটি মামলায় শ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে। মামলাগুলো প্রত্যাহার না করা এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানা বের হওয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানের নেতৃত্বে শুক্রবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে মামলার বাদি নাসির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা কুপিয়ে ৮ জনকে গুরুতর আহত করে।

আহতরা হলেন- ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন, নাসিরের স্ত্রী রহিমা বেগম, ছেলে মোবারক হোসেন, মোতাহার হোসেন, চাচা আলী মিয়া, চাচাতো ভাই আবুল কালাম, মাইন উদ্দিন ও চাচাতো বোন ফাতেমা আক্তার। বর্তমানে তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউপি মেম্বার মেম্বার বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে ৮ জনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় শনিবার সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে ইউপি সদস্য বজলুর রহমানসহ ১৯ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অপর একটি হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালত তার ৩ বছরের সাজা ঘোষণা করে। সাজার বিরুদ্ধে বজলুর রহমান উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত রয়েছে। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, প্রায় ৬ মাস আগে বজলু মেম্বার তার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে আমরা এ ঘটনায় মামলা করি, কিছুদিন আগে সেই মামলায় আদালত বজলু মেম্বারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এরই মধ্যে গত ১৪ জুলাই বজলু ও রশিদ আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমার বাবা ও ভাইকে কুপিয়ে ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা আরেকটি মামলা করি আদালতে। দু’টি মামলা করায় বজলু আমাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বেশ কিছুদিন ধরে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলো। মামলা তুলে না নেওয়ায় শুক্রবার এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে আমাদের হত্যার উদ্দেশে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৮ জনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বজলুর রহমানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছে। ৩ বছরের সাজা সম্পর্কে ওসি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে তার সাজা স্থগিত হওয়ায় আমরা তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে পারিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: