নগরকান্দায় ইউএনও অফিসে পুজা উদযাপন কমিটির মারামারি

প্রকাশিত: ০৭ আগষ্ট ২০২২, ০৯:৩৯ পিএম

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মিনি কনফারেন্স রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নগরকান্দা থানার ওসি তদন্তের সামনেই নগরকান্দা উপজেলা পুঁজা উদযাপন কমিটির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রবিবার (৭ আগস্ট) নগরকান্দা সরকারি অফিসে উপজেলা প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা নগরকান্দার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, গত মাসে নগরকান্দার একজন সাংবাদিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসের সামনে সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত এক ব্যাক্তিকে চর থাপ্পর মারলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। তবে আজকে এমন ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের নীরবতা হাজারও প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে জনসাধারণের মনে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরকান্দা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি দুটি। একটির সভাপতি বিধান বিশ্বাস, অন্যটির সভাপতি বাবু মনোরঞ্জন বিশ্বাস।

একই উপজেলায় দুইটি কমিটি থাকায় বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক ও সামাজিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এটি সমাধানে ইউএনও দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। ইউএনও’র উদ্দেশ্য ছিল দুপক্ষের বিবাদ মিটিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করা। কিন্তু সভা চলাকালীন বিধান বিশ্বাস ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাটি শেষ হয়।

ঘটনার পর নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, ইউএনও সাহেব ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সফল হয়নি। ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। বিধান বিশ্বাস ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।

ইউএনও এস এম ইমাম রাজি টুলু এ ব্যাপারে বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি, এখনও সবাইকে সেভাবে চিনি না। এখানে পূজা উদযাপন পরিষদের দুটি কমিটি রয়েছে। প্রতিদিনই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করতে আসে। আবার তারাই আমাকে বলেছে সবাইকে নিয়ে বসে দুই পক্ষকে এক করে দিতে। সেই লক্ষ্যেই উপজেলায় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু হট্টগোলের কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ করতে হয়। পরে তাদের দুই পক্ষকে বোঝানো হয়েছে, এটি নিয়ে যেন পরবর্তীতে দুই পক্ষ কোনো ঝামেলা না করে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: