বঙ্গমাতার অবদান ভুলতে পারব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮ আগষ্ট ২০২২, ০৯:০৮ পিএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ভূমিকা ভুলে যাওয়ার মত নয়। আজ সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সবসময় বঙ্গবন্ধুকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন, সাহস দিতেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৬ সালে আমি যখন কলেজে ভর্তি হলাম তখনই ৬ দফার আন্দোলন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু তখনই বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি মানুষের মনের কথা জানতেন। তিনি মানুষের দাবির কথা, অধিকারের কথা যখন তুলে ধরার চেষ্টা করতেন তখনই তাকে আটক করা হত। মন্ত্রী বলেন, সেই সময় ছাত্ররা একত্রিত হয়ে নেতাদের পরামর্শ নিয়ে ১১ দফা নিয়ে মুভমেন্ট শুরু করে। তেজগাঁওয়ের দায়িত্বে ছিলাম আমি। তখন আমরা দেখেছি, কতটা দুর্বার আন্দোলন হয়েছে। তখন তার নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেওয়া হয়, মূল উদ্দেশ্য ছিল তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো।

এ সময় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তখন পাকিস্তান প্রস্তাব দিল, বঙ্গবন্ধুকে গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালো। কীভাবে তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যাবেন। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে আগলে রাখতেন। সমস্ত আন্দোলনের জন্যই তিনি তাকে সবসময় সহযোগিতা করতেন। তিনি আমাদের ছাত্রনেতাদের নির্দেশ দিলেন। বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তি নিয়ে সেখানে যাবে না। মুক্ত বঙ্গবন্ধু যাবেন। আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে। যেন বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে পাকিস্তান বাধ্য হয়। তখন আমি বঙ্গমাতাকে দেখেছি। তার নেতৃত্ব দেখেছি।' ৫৫ বছর বয়সে দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু এ নিয়ে বঙ্গমাতার অভিযোগ ছিল না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এই সহ-সভাপতি বলেন, তখন পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাল। কীভাবে? তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যাবেন। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে আগলে রাখতেন। সমস্ত আন্দোলনের জন্যই তিনি তাকে সবসময় সহযোগিতা করতেন। তিনি (বঙ্গমাতা) আমাদের ছাত্রনেতাদের নির্দেশ দিলেন। বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তি নিয়ে সেখানে যাবেন না। মুক্ত বঙ্গবন্ধু যাবেন। আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। যেন বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে পাকিস্তান বাধ্য হয়। তখন আমি বঙ্গমাতাকে দেখেছি, তার নেতৃত্ব দেখেছি। ৫৫ বছর বয়সে দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু এ নিয়ে বঙ্গমাতার কোনো অভিযোগ ছিল না।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফিয়া খাতুন ও সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: