‘দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার ভূমিকা ছিল অনন্য’

প্রকাশিত: ০৮ আগষ্ট ২০২২, ০৯:০৬ পিএম

ফাহাদ, জবি থেকে: দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার ভূমিকা ছিল অনন্য, যদি তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে না থাকতেন তাহলে এদেশ এত সহজে মুক্ত হতো না বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক। সোমবার (৮ আগস্ট) জবির বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা উপাচার্য বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হোক বলেন, বঙ্গমাতা যদি বঙ্গবন্ধুর পাশে না থাকতেন তাহলে এদেশ এত সহজে মুক্ত হতো না ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে আমরা অনেক বিষয়ে পেরেছি, এই বইটি লেখার পিছনেও ছিল বঙ্গমাতার অনেক অবদান। তিনিই বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ দিতেন লিখতে এবং লিখার জন্য খাতা কিনে দিয়ে এসেছেন জেলে।

উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জেলে থাকার সময় বঙ্গমাতা যখন জেলে দেখা করতে যেতেন তখন পাকিস্তানিরা শুনতো কি কথা বলছে। এটি যেন না হয় সেজন্য তিনি শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা আর কামালকে নিয়ে আসতেন। আর জেলে তারা ইচ্ছা করেই ঝগড়া-মারামারি করতো। এই সুযোগে তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে কথা বলে নিতেন।

উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গমাতা চাইলে তিনি বেঁচে থাকতে পারতেন কিন্তু বঙ্গমাতা সেসময় বলেছেন ‘ওনাকেও যেন মেরে ফেলা হয়’। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গমাতা সবসময় বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন তিনি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের রান্না করে খাইয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি শেখ হাসিনা উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, যে কাহিনি পর্দার আড়ালে আছে তা আর কতটুকুই বা লিখে প্রকাশ করা যাবে। অনেক না বলা কথা ও ইতিহাস এখনও অজানা।’ এই না বলা ইতিহাস, না বলা কথা তিনি হলের শিক্ষার্থীদের গবেষণা করতে বলছে।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ছাত্রীহলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কর্ণার ও একটি দেয়ালিকা উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা, হলের হাউজ টিউটর ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: