বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার ১০ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১১ আগষ্ট ২০২২, ০৫:০৪ পিএম

বগুড়ার সোনাতলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মো. সোবহান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রায় ১০ বছর আগে সমিতির টাকা চেয়ে না পাওয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি। রায় ঘোষণার সময় আসামী সোবহান আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোবহান আলী সোনাতলার সোনাকানিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত স্ত্রীর নাম সুলতানা রুমা।

২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে রুমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার গলা কেটে মরদেহ ফেলে রাখেন স্বামী সোবহান আলী। ওই ঘটনায় পরের দিন রুমার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় মামলা করেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) পদ্ম কুমার দেব।

মামলার বরাতে আইনজীবী জানান, রুমার সঙ্গে সোবহানের প্রায় ১৫ বছরের সংসার ছিল। দাম্পত্য জীবনের সাত বছরের মাথায় একটি সন্তান হয়। কিন্তু একদিন পর সেই বাচ্চা মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে সোবহান প্রায় তার স্ত্রী রুমাকে মারধর করতেন। পাশাপাশি রুমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার কথা বলতেন সোবহান।

এরই এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর রাতের কোনো এক সময় রুমার কাছে সমিতিতে দেয়ার জন্য টাকা দাবি করেন সোবহান। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রুমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে সোবহান। পরে সকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুমার গলা কেটে মরদেহ বাড়ির সামনে উঠানে ফেলে রাখেন স্বামী।

এপিপি আরও জানান, খবর পেয়ে রুমার পরিবার এলে দেখে স্বামী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পরে থানায় গিয়ে হত্যা মামলা দেয় রুমার মা রোকেয়া বেগম। পরবর্তীতে এ ঘটনায় সোবহান গ্রেপ্তার হলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

আইনজীবী পদ্ম কুমার দেব বলেন, এ ঘটনায় দীর্ঘ শুনানীর শেষে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন আসামী সোবহানকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেন বিচারক।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: