পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের স্মরণে ঢাবি সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের আলোচনা সভা

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পঁচাত্তর এর ১৫ আগস্টের সকল শহিদ স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা’ সূর্য হলে “তোমার স্বপ্নে পথচলি আজো চেতনায় মহীয়ান” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা’ সূর্য হল ছাত্রলীগের আয়োজনে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই শোক স্মরণেই মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তারই অংশ হিসেবে পালিত হয় এই আলোচনা সভা।
মাস্টার দা’ সূর্য হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের সঞ্চালনায় ও হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। শুরুতে শোকাবহ আগষ্টের কথা স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, জিয়াউর রহমান সেইসময় শিক্ষার্থীদের বই-খাতার পরিবর্তে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। সেই সময় জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আর ছাত্রদলের দখলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো কলুষিত করেছিলেন তাঁরা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কলুষিত হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এমন বর্বরোচিত ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে সেই সময় তাঁরা বের করতে দেওয়া হয় নি। ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছন জিয়াউর রহমান।
তিনি আরো বলেন, যে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশ নামে দেশটি উপহার দিল তাঁকে বাঁচতে দিল না ঘাতকরা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘৃণ্য ঘটনা হয়তো দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল কিন্তু তারপরেও নানান চড়াই-উৎরাই দেরি হলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রীতে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, শুধু জিয়াউর রহমান নয়, খন্দকার মোশতাক সময় মত তাঁর কাজ করার জন্য অনেক আগেই আমাদের দলে প্রবেশ করেছিল। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা ছিল ৯৬ সাল পর্যন্ত। এ হত্যার বিচার বাতিলের জন্য ইনডেমনিটি এ্যাক্ট জারি করা হয়। পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে যুদ্ধ অপরাধীর বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে চাওয়াতে ২০০৮ সালে যাঁরা হেসেছিল। তাঁরা সেই হাসার উত্তর পেয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজ, দেরিতে হলেও বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকত, যদি প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বাস্তবায়ন করতে পারত; তাহলে ৮০ দশকেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হত, বলে মনে করেন শেখ ফজলে ফাহিম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা’ সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, মাস্টার দা’ সূর্য হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান সোহান, সাবেক মাস্টার দা’ সূর্য হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন বক্তব্য রাখেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: