আওয়ামী লীগ চাপে পড়ে নিজেদের সভ্য দেখাচ্ছে: ফখরুল

প্রকাশিত: ১২ আগষ্ট ২০২২, ০৪:৫৭ পিএম

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সরকার চাপে রয়েছে। তাই বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে। নিজেদেরকে সভ্য দেখাচ্ছে। তারা দেখাচ্ছে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দিচ্ছে। গতকাল আমাদের সমাবেশে বাধা দেয়নি, আজকেও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে পারছি। এটাও একটা প্রতারণা।

আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জ্বালানি তেলের মূল্য অসহনীয় বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের লাগামহীন দাম, বিদ্যুতের বিপর্যয়, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে গুলি ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক পেশাজীবী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মহাসচিব বলেন, সরকার নতুন করে ক্ষমতায় আসতে পায়তারা করছে, যে কোনো ধরনের নির্বাচন দিয়ে তারা সরকারে আসতে চাই। দেশের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের কী অবস্থা এখন নতুন করে বলার দরকার নেই। রাস্তায় বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞেস করুন কত টাকা বাসভাড়া বাড়িয়েছে! রিকশাচালক, কৃষক, শিক্ষক সবাই কষ্টে আছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে মধ্যবিত্ত, যারা সইতে পারছেন না। দেশে সুনামি সৃষ্টি হবে, সেই সুনামিতে এ সরকার বিদায় নেবে।

তিনি বলেন, এই সরকারের পতন অনিবার্য, জনগণ জেগে উঠেছে। রাজপথ দখল করে জনগণের সুনামিতে ভয়াবহ এই সরকারের পতন ঘটবে। এই সরকার পরকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে ফকরুল বলেন, স্থিতিশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এই সরকার এতদিন মেট্রোরেল, টানেল, ব্রিজ ইত্যাদির উন্নয়নের কথা বলে চুরি করেছে। এখন উল্টো আইএমএফসহ অনেকের কাছে লোন চাচ্ছে।

ইভিএম প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জানে ইভিএম ছাড়া তাদের জেতার কোন উপায় নাই, ইভিএমে ভোট দেবেন ধানের শীষে, পড়বে গিয়ে নৌকায়। তাই তারা ৩০০ আসনে ইভিএম মেশিন চাচ্ছে। এ সময় তিনি দাবি করেন, গত ১৫ বছরে সরকার ৬০০ শতাধিক নেতাকর্মী গুম করে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমকে গুম করেছে। তাই সরকারের পতনের জন্য পেশাজীবীদের অতীতের মতো রাজপথে থাকতে হবে। এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। অন্যদের মধ্যে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: