খাগড়াছড়িতে জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন, আটক ৩

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২২, ০৪:২৪ পিএম

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি এলাকায় শ্বশুর হোসেন আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ঘাতক জামাই কামরুল ইসলাম এবং তার অপর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। আটকের পরপরই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক জামাই কামরুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দুই সহযোগী সিরাজুল ইসলাম ওরফে পন্ডিত ও আশরাফুল কে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর বারটায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ।

আব্দুল আজিজ বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে বারটার দিকে জামাই কামরুল ইসলাম পূর্ব শত্রুতা, সংক্ষুব্ধতা এবং অর্থের লোভে দুই সহযোগীর সহযোগিতায় শ্বশুর হোসেন আলীকে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। হত্যা শেষে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। এরপর শনিবার (১৩ আগস্ট) নিহতের বড় ছেলে মো. ইউনুস বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় ৩০২, ৩০১ ও ৩৪ পেনাল কোডে একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, 'ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আমরা একদল চৌকস পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে কাজ শুরু করি এবং দ্রুতই সফল হই। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি হিসেবে জামাই কামরুল ইসলাম এবং তার সহযোগী হিসেবে আরও দুজনকে আটক করা হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে কামরুল ইসলাম সব অকপটে স্বীকার করে নেয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশির অবশিষ্টাংশ এবং নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদের সবাইকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।'

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: