উপকূলের নদীতে ২-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২২, ০৮:৪৯ পিএম

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীর পানি ২-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সমস্ত এলাকায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। পরবর্তীতে রবিবার (১৪ আগস্ট) ভোর থেকে বৃষ্টিপাত ও বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি স্থানে বেঁড়িবাধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও স্থানীয়রা বালি ও মাটির বস্তা দিয়ে তা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়। জোয়ারের পানি স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে প্রায় ৪ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে উপকূল সংলগ্ন সকল বেড়িবাঁধগুলো। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বিশেষ সতর্ক বার্তা দিয়েছে উপকূলবাসীর জন্য।

অন্যদিকে, জোয়ারের পানি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে। ফলে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা জন্য যথাযথ ভাবে প্রস্তুত রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। তাছাড়া নদীন পানি বৃদ্ধি প্রভাবে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশের যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

শ্যামনগর উপজেলার পদ্নপুকুর ইউপির পাতাখালী গ্রামের মাসুম বিল্লাহ্ জানান, নিন্ম চাপের প্রভাবে গতকালকে থেকে কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া সহ অন্যান্য উপকূলীয় নদীগুলোর পানি ৪ ফুটের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের গতিসীমা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় কিছু কিছু অঞ্চলের বেড়িবাঁধে পানি উঠার উপক্রম রয়েছে। বিশেষকরে গাবুরা ইউপি সংলগ্ন এলাকাগুলো বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

গাবুরা ইউপির বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম জানান, পাশ্ববর্তী কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া সহ সকল নদীর পানি স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মুল বেড়িবাঁধগুলো ছাপিয়ে পানি গ্রামে প্রবেশের যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে তাছাড়া চিংড়ি ঘেরসহ অন্যন্য প্রজেক্টগুলো ব্যাপকতর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। ক্রমাগত ভাবে বৃষ্টি সাথে সাথে ঝড়ো বাতাস বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি, এম মাছুদুল আলম জানান, নিন্মচাপের কারনে শনিবার সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত শুরু। ক্রমাগত ভাবে রবিবার (১৪ আগস্ট) ভোর থেকে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপকূল সংলগ্ন নদীরগুলোর পানি প্রায় ২ থেকে ৪ ফুটের কাছাকাছি বৃদ্ধি পেয়েছে। গাবুরা নাপিতখালী, জেলেখালী সহ অন্যন্য এলাকার বেড়িবাঁধ সমূহ বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে যেকোন সময়ে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে।

তিনি জানান, উপকূলীয় জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন বুঝে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিখার আলী রিপন জানান, নিন্মচাপের কারনে উপকূলীয় নদীগুলোতে ২-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসকল এলাকায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি সম্ভব কম রয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: