উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ল নির্মাণাধীন স্কুলের ছাদ

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ শেষ হওয়া ও উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ল সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়িকক্ষের ছাদ। ঘটনার পরপরই তাড়াতাড়ি করে সরিয়ে ফেলা হয় ভেঙে পড়া ভবনের নির্মাণ সামগ্রী। ছাদে ওঠার সিঁড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের সৌদিয়া বাজার নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাবিব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজের ঠিকাদারি পায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. মুকুল নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ কাজটির সাব-ঠিকাদারি নেন। ১৭ দিন আগে দ্বিতীয় তলার মূল ভবনের কাজ শেষ করে সিঁড়িকক্ষের ছাদের ঢালাই দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, ছাদের ঢালাইয়ে নামমাত্র রডের ব্যবহার করা হয়। ছাদে পাঁচ ইঞ্চির মাথায় একটি রড দেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতিটি রডের দূরত্ব রাখা হয়েছে এক ফুটের বেশি। এ ছাড়া অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। তদারকি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারের লোকজন নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করেছেন। এ অবস্থায় ভবনের দ্বিতীয় তলা কখন ভেঙে পড়ে, তা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন স্থানীয় লোকজন। কয়েক দিন আগে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিঁড়ির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়।
বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে জানালেও তাঁরা আমলে নেননি। সর্বশেষ নির্মাণের ১৭ দিনের মাথায় সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিকট শব্দে সিঁড়ির কক্ষের ছাদ ভেঙে পড়ে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনের নির্মাণ কাজ বেশির ভাগ সময় রাতে করা হয় বলেও স্থানীয়রা জানায়। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে ছাদ ঢালাই করার ফলে ওই ছাদ ভেঙে পড়েছে।
এ বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা বিডি২৪লাইভকে বলেন, খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন ,নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই দেওয়ার কারণে ছাদটি ভেঙে পড়েছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শরফুদ্দিন ওরফে সবুজ বিডি২৪লাইভকে বলেন, দ্বিতীয় তলার কাজ শুরু হওয়ার পর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে দেখে তিনি প্রতিবাদ করেন। কাজের তদারকি করতে আসা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। কেউ তাঁর কথা শোনেন নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হাবিবুর রহমান ও সাব-ঠিকাদার মো. মুকুলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নোয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দীপঙ্কর খীসা বিডি২৪লাইভকে বলেন, কেউ তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: