বুড়িচংয়ে সীডলিং ট্রেতে চারা তৈরি বীজ বপন ও চারা রোপণের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ

প্রকাশিত: ১৬ আগষ্ট ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম

কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের উদ্বুদ্ধ করতে ও বছরব্যাপি শস্য বিন্যাসে ১০-১৫ দিন বাঁচিয়ে তিন ফসলি জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষাকে যুক্ত করতে কুমিল্লার বুড়িচং এর বিভিন্ন গ্রামে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি বিভাগ। সে উপলক্ষ্যে সিডর্লিং ট্রেতে চারা তৈরিরে উদ্দেশ্যে বীজ বপন চলছে। তাছাড়া পাকা ধানের জমি কাটা হচ্ছে কম্বাইন হারভেস্টার এর মাধ্যমে।

বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কৃষকদের এমনই এক কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল। স্থানীয় কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘা জমি রোপণ করতে শ্রমিক খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। আর সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরি করে রাইসট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে রোপণ করলে বিঘা প্রতি পাঁচ শত থেকে এক হাজার টাকা খরচ হবে। তার থেকেও বড় কথা প্রয়োজনের সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শ্রমিক মজুরি দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যায়।

এ সব দুশ্চিন্তা থেকে এবার আমার মুক্ত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অর্থায়নে উক্ত কার্যক্রমটির উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয়কারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায় জানান, মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রথমত, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বিশেষ করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারকে জনপ্রিয়করণ, দ্বিতীয়ত, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন বাঁচিয়ে শস্য বিন্যাসে নতুন ফসল সরিষার অন্তর্ভুক্তি। তাছাড়া, স্বল্প খরচে চারা রোপণ ও কর্তনের মাধ্যমে কৃষকের বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অর্থ সাশ্রয় হবে ও শ্রমিক সংকটের দুঃশ্চিন্তা কিছুটা লাঘব হবে। ইতিমধ্যে আউশ ধান কাম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে, পরবর্তীতে রোপা আমনও কাটা হবে।

বৃড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামপুর ও পাহাড়পুর গ্রামে ১০ বিঘা করে ২০ বিঘা জমিতে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদের আলোকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ ও কম্বাইন হারভেস্টারের সাহায্যে ধান কর্তনের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: