বড়লোক হওয়ার নেশায় ৫০০ মোটরসাইকেল চুরি করে তারা

নূর মোহাম্মদ (২৬)। মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মুলহোতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বড় লোক হওয়ার নেশা মাথা ঝেকে বসেছে। তারপর গত কয়েক বছরের পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ মোটরসাইকেল চুরি করেছে তারা। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শনিরআখড়া ও ধলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা বড়লোক হওয়ার নেশায় গত আট বছরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে। চুরি করা মোটরসাইকেলগুলোর মধ্যে অধিকাংশই সুজুকি ব্র্যান্ডের জিক্সার মডেলের। গ্রেপ্তাররা হলেন, চক্রের মুলহোতা নূর মোহাম্মদ (২৬), অন্যতম সহযোগী রবিন (২৩), সজল (১৮), মনির (২২) ও আকাশ (২২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। ডিবি প্রধান বলেন, যারা চুরি করে এবং যারা চোরাই জিনিস কিনে ব্যবহার করবেন উভয়েই সমান অপরাধী। যার কাছে চোরাই জিনিস পাওয়া যাবে, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুন্সীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারসহ আশপাশের এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে এই চক্রটি। তারা তিন-চার লাখ টাকার মোটর সাইকেল কম দামে বিক্রি করে দেয়।
ডিবি জানায়, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুজুকি জিক্সার মডেলের মোটরসাইকেল চুরি করত নুর মোহাম্মদ ও তার সহযোগীরা। বাইক চুরির জন্য চক্রটি বিশেষভাবে মাস্টার কি (নকল চাবি) তৈরি করে। সুযোগ বুঝে নকল চাবির মাধ্যমে টার্গেট করা বাইকটি স্টার্ট করা মাত্রই পালিয়ে যেত তারা। এভাবে পুরান ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত কয়েক বছরে অন্তত ৫০০টি মোটরসাইকেল চুরি করেছে নুর মোহাম্মদ। এরপর কেরানীগঞ্জ, দোহার, মুন্সিগঞ্জসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল কম দামে বিক্রি করত তারা।
গ্রেপ্তার সজলকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সে নিজেও বড়লোক হওয়ার নেশায় দোহারের মেঘুলা বাজারের একজন ধনি বেকারি ব্যবসায়ীর মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু মেয়ের মা-বাবা তাদের মেয়ের সঙ্গে সজলের সম্পর্ক ছিন্ন করলে সজল হতাশ হয়ে বড়লোক হওয়ার নেশায় আসামি নুর মোহাম্মদ ও রবিনদের চক্রে যোগ দেয়। গ্রেপ্তার সজল, মনির ও আকাশদের মূল কাজ ছিল দোহার ও আশপাশের এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজে বের করা। প্রতিটি চোরাই মোটরসাইকেল তারা ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করত। বিক্রির টাকা নূর মোহাম্মদ ৪০ শতাংশ রবিন ৩০ শতাংশ ও অবশিষ্ট টাকা অন্য ভাগ করে নিত।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: