মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হাতুড়িপেটা, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০২২, ০৯:০১ পিএম

রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় হামলার স্বীকার হয়েছেন বাবা। এ ঘটনার ৬ দিন অতিক্রম করলেও মামলা করতে পারেনি ভুক্তভোগী বাব নীল মাধব সাহা। আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

ভুক্তভোগীর নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকার বাসিন্দা। নীল মাধব সাহার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকায় একটি পার্লার রয়েছে। সংবাদ সম্মলনে তিনি জানান, তার মেয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে কলেজে যাতায়াতের সময় প্রেমের প্রস্তাববসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে এরফান খান মেরাজ (২২), সামদের ছেলে রুহুল আমিন সরকার প্রিন্স, আক্তারের ছেলে রবিন। গত ১২ আগস্ট সকালে এই কাণ্ডের প্রতিবাদ জানান তিনি। পরদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বখাটেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে তার পার্লারে হামলা চালায়। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাতসহ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মাথায় ১২টি সেলাই পড়ে।

নীল মাধব জানান, হামলাকারীরা নিজেদের ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। এ কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। তারা এজন্য কোনো আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগীর ভাষ্য, আইনি প্রতিকার পেতে তিনি নগরীর মতিহার থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু মতিহার থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে জানায়, এলাকাটি পড়েছে রেলওয়ে থানার অধীনে। তাই রেলওয়ে থানায় যান তিনি। কিন্তু সেখানেও মামলা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি চন্দ্রিমা থানার বাসিন্দা বলে সেই থানায় যান মামলা করতে। কিন্তু সেখানেও তার মামলা নেয়নি পুলিশ।

এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ভুক্তভোগী ব্যক্তি যে এলাকারই বাসিন্দা হোক না কেন, যে থানা এলাকায় ঘটনা সেই থানাতেই মামলা হবে। তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে রেলওয়ে স্টেশনে ঘটনা, এলাকাটি রেলওয়ে থানার। এ ব্যাপারে মতিহারেও মামলা হবে না, চন্দ্রিমাতেও হবে না। আমি তাদের রেলওয়ে থানায় যেতে পরামর্শ দিয়েছি। সেখানে কেন মামলা নেওয়া হয়নি সেটা জানি না।

নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: