অর্থনীতি চাঙ্গা করতে জাপানে তরুণদের মদ্যপানের আহ্বান

প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০২২, ০৯:০৮ পিএম

সাধারনত জাপানের প্রাপ্তবয়স্ক তরুণেরা সাধারণত খুবই শান্ত প্রকৃতির হয়।এই তরুণ প্রজন্মের মাঝে পরিবর্তন আনার আশায় তাদেরকে মদ খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাপান সরকার। এ নিয়ে একটি প্রচারণাও চালাচ্ছে তারা। আর এই প্রচারণার মুখ্য উদ্দেশ্যে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করা।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বাবা-মায়ের তুলনায় জাপানের তরুণ প্রজন্ম কম মদ পান করে। আর এর কারণে মদ থেকে পর্যাপ্ত শুল্ক আদায় করা যাচ্ছে। যে কারণে দেশটির জাতীয় শুল্ক সংস্থা এই প্রবণতা ভেঙে ফেলতে জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। মদ্যপানকে আরও বেশি জনপ্রিয় করতে ‘দ্য সেইক ভাইভা!’ নামের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশটির ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদেরকে তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে জাপানি মদ্যপানীয় শোচু, হুইস্কি, বিয়ার বা মদের চাহিদা কীভাবে বাড়ানো যায় সেবিষয়ে ব্যবসায়িক ধারণা শেয়ার করতে বলা হয়েছে।

তবে এই প্রতিযোগিতা পরিচালনাকারী একটি গ্রুপ বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মানুষের মাঝে নতুন নতুন অভ্যাস গড়ে উঠেছে । এ সময়ে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মাঝে মদ পান হ্রাস পেয়েছে।জাপানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষের এই আয়োজন ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাসে লোকজনকে উৎসাহ দেওয়ার এই আয়োজন নিয়ে অনেকে সমালোচনাও করেছেন। তবে প্রতিযোগিতার জন্য অনেকে অনলাইনে অদ্ভূত ধারণাও শেয়ার করছেন।

তবে এই প্রতিযোগিতার কিছু নিয়মবলি রয়েছে। মূলত এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিক পর্যন্ত তাদের ধারণা উপস্থাপন করতে পারবেন। নভেম্বরে চূড়ান্ত প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করা হবে। পরে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সেরা পরিকল্পনাগুলো নিয়ে ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা হবে। জাপানের শুল্ক সংস্থার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এক বছরে একজন জাপানি ওই বছর ১০০ লিটার মদ পান করলেও ২০২০ সালে তা কমে ৭৫ লিটার হয়েছে। গত কয়েক বছরে দেশটিতে মদ্যপানীয় খাত থেকে কর রাজস্বের পরিমাণও কমে গেছে।

দেশটির দৈনিক দ্য জাপান টাইমস বলছে, ১৯৮০ সালে জাপানের মোট রাজস্বের প্রায় ৫ শতাংশ আসতো মদ্যপানীয় খাত থেকে। কিন্তু ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশে।

সূত্র: বিবিসি

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: