২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মানবাধিকার লঙ্ঘন: রেজাউল করিম

প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২২, ১০:৫৩ এএম

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. রেজাউল করিম রাজু বলেছেন, ২১ আগস্ট দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

ক্ষমতায় থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। রোববার (২১ আগস্ট) প্রথম প্রহরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গ্রেনেড হামলা দিবসের কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন,আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন। তবে, সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচশতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। তাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। অনেকে দেহে স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। ২১ আগস্টের বীভৎস হত্যাকাণ্ড দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন,বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই ক্ষমতায় এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একের পর এক বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিরোধীদল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়।আর এ হামলার মূললক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা বুঝতে পেরে তাদের প্রত্যাখান করেছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উৎপল সরকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালহা বিপ্লব সহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্তুজা মনসুর, সাধারন সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা চৈতী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ, সাধারন সম্পাদক একে এম তানিম আহসান চপল,জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম দুখু, যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সুরাইয়া আক্তার সহ যুবলীগ, শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: