সেপ্টেম্বরে সক্ষমতা অনুযায়ী ইভিএমে ভোট গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২২, ০৯:২৬ পিএম

নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করে অনেক তর্ক- বিতর্ক রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইভিএম নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে, সে সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বরে জানানো হবে। রোববার (২১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, ইভিএম আমাদের কাছে একটা পদ্ধতি। জটিল কিছু নয়। যেখানে নির্বাচন হয়েছে কেউ চ্যালেঞ্জ করেননি। কেউ বলেনি যে ইভিএমের কারণে হেরেছি। বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। ৬ থেকে ৭ শ নির্বাচন হয়েছে। রাজনৈতিকবিদরা টক-শোতে পক্ষে বলেছেন। অনেকে বিপক্ষেও বলেছেন। সুবিধা, অসুবিধাও আছে। আমরা সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএম ব্যবহার হবে, তবে কত আসনে হবে সে সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নিতে পারিনি। আলোচনা করছি। এই মুহূর্তে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ভোট করার সক্ষমতা আছে। আমরা কতগুলোতে পারবো সেই সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

তাহলে কি ৭০-৮০টি আসনে ব্যবহার হবে ইভিএম-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, এই মূহুর্তে ৭০-৮০টা করার সক্ষমতা আছে। কিন্তু অনেক দল যেহেতু ৩০০ আসনেই চায়, কেউ একটাও টায় না। আমরা তো সবার কথা সমান ভাবে গুরুত্ব দিতে পারবো না। যারা ৩০০ আসনে চায় তাদেরটা গুরুত্ব দেওয়ারও প্রশ্নই আসে না। আমরা যেটা চাচ্ছি সক্ষমতা এবং যৌক্তিকতা; সেটা দেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। কারো মুখে দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো না। সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট করার জন্য সিদ্ধান্ত নেবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি যে ইভিএমে ভোট কারচুপি হওয়ার কথা বলে, তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য আমরা ডেকেছিলাম। তারা আসেন নাই। কাজেই তারা সঠিক কিনা আমরা সেটাও জানিনা। ইউপিতে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। তাহলে গ্রামের মানুষ কিভাবে ভোট দিলো। তার মানে এটা হলো অপপ্রচার। আপনি তো বলবেন আমি খারাপ, এর জন্য প্রমাণ দিতে হবে। আপনারা অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু প্রমাণ দেনিন। কোর্টে অভিযোগের ভিত্তিতে রায় দেয়? যারা অভিযোগ দিয়েছে আমাদের কাছে এসে তাদেরটা আমলে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখছি। যারা আসে নাই তাদেরটা আমলে নেই নাই।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, বিএনপিকে অবশ্যই আলোচনায আসতে হবে। কারণ যিনি আলোচনায় আসলেন না, কথা বললেন না, তাদের বিষয় নিয়ে বিবেচনায় নেওয়ার তো সুযোগ নেই। আমাদের ক্ষমতা দিছে কী সংবিধান? আমাদের সংবিধান ক্ষমতা দিছে- নির্বাচন করার, নির্বাচন সুষ্ঠু করার, গ্রহণযোগ্য করার। আমাদের কী সংবিধান ক্ষমতা দিছে যারা নির্বাচনে আসবেন না, তাদেরকে লোভ দেখিয়ে সন্তুষ্ট করে, অনুরোধ করে, পায়ে ধরে নির্বাচনে আনেন; কোথাও বলা আছে? তাহলে আমরা কেন আনবো। যদি থাকতো তাহলে করতাম।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: