তেল পাচার বন্ধ হওয়ায় দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩০ আগষ্ট ২০২২, ০৩:৫৪ পিএম

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করতে হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভর্তুকি দিয়ে তেল কেনা হতো, আর সেটা প্রতিবেশী দেশে যেত। এখন তেল পাচার বন্ধ হয়েছে, সেজন্য তেলের দাম ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রত্যেকটা উন্নত দেশ বিদ্যুতের অভাব। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের। পানির অভাব। জার্মানিতে গরম পানি ব্যবহার করতে পারবে না। খাবারের দাম বেড়ে গেছে বিশ্বব্যাপী। যুদ্ধের এটা ফলাফল। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি। তেল আমরা বেশি দামে কিনি, কম দামে বেঁচে ভর্তুকি দেই। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করতে হয়। আমরা তেলের দাম ইতিমধ্যে ৫টাকা করে কমিয়ে দিয়েছি।

সারা পৃথিবী জুড়ে কিছু মানুষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতৎরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের স্বজনরাই বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। তবে আমরা সংঘাত চাই না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তেলের দাম, কয়লার দাম বেড়ে গেছে। আমরা গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হচ্ছে, লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমরা যাতে বৈশ্বির মন্দার ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত না হই, সেজন্য আগেভাবে সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ এই যুদ্ধ আমেরিকা থামতে দেবে না। আমেরিকার নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না এ যুদ্ধ। কাজেই আমাদের উৎপাদন অব্যহত রাখতে হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: