কুবিতে 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:২৫ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উদ্যােগে 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত করা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) বেলা ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসনের সহযোগিতায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হলের প্রভোস্ট ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখব আমরা অধিকাংশ সময়ই পরাধীন ছিলাম। বাঙ্গালির ইতিহাস পরাজয়ের ইতিহাস, সেখান থেকে বাঙ্গালির ললাটে প্রথম বিজয় এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সকল সময় সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যেখানে আমাদের আদর্শ মুজবীয়, আমাদের ঐক্যের প্রতীক শেখ হাসিনা। সেখানে কেন এত ভেদাভেদ থাকবে। নিজেদের স্বার্থে আমরা ভেদাভেদ তৈরি করছি। কিন্তু মুজিবের আদর্শে ভেদাভেদ থাকতে পারেনা। আমরা যদি শেখ হাসিনাকে দেখতে চাই তাহলে ঐক্য হতে হবে এক, আদর্শ হতে হবে মুজিবের।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। এদেশকে স্বাধীন করতে একক নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ৭৫ এর পর দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না তার কারণে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়। আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে আবারও উন্নয়নের ধারা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ সময় তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে হল প্রভোস্ট ড. মোকদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নয়। বঙ্গবন্ধুই মানেই বাংলাদেশ। তিনি গণশিক্ষার কথা, স্বাক্ষরতার কথা বলে গিয়েছেন। জাতিকে শিক্ষিত করতে প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি জোর দিয়েছিলেন। তিনি দেশে সংকট থাকা সত্বেও ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি বরাবরই শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার সাকিবের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শামিমুল ইসলাম, আইকিওএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, হলের আবাসিক শিক্ষক, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ হলের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: