নদীতে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৯ এএম

পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শিশু। একদিন পর দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীতে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারের পর স্বজনদের হাতে লাশ তুলে দিয়েছে পুলিশ। এর আগে জাহিদ হাসান (৫) নামে শিশুটি বোদা উপজেলায় বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে করতোয়া নদীতে পড়ে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ২৬ ঘন্টা পরে ওই শিশুর মরদেহ দিনাজপুর জেলার খানাসামা উপজেলার আত্রাই নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর জয়গঞ্জ শালবাগান খেয়াঘাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে খানসামা থানা পুলিশ। জাহিদ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের শিকারপুর এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশু জাহিদ প্রতিবেশি শিশুদের সাথে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এসময় সে করতোয়া নদীর ধারে গেলে অসাবধানতাবশত নদীর পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশি শিশুরা জাহিদের বাসায় জানালে পরিবারের সদস্যরা নদীতে নেমে জাহিদকে খোঁজাখুঁিজ করতে থাকে। পরে তারা না পেয়ে বোদা থানা ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বুধবার দুপুরে করতোয়া নদীতে নেমে নদীর বিভিন্ন স্থানে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ধরে জাহিদকে খুঁজতে থাকে। পরে শিশুটিকে না পেয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে খবর দেয়া হয়। তারা ওই দিন বিকেলে নদীতে নেমে নদীর বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু জাহিদকে খুঁজতে থাকে। পরে তার মরদেহ না মেলায় ওই দিনের মত উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবারো নদীর বিভিন্ন স্থান জাহিদকে খোঁজা হয়। এরপরেও তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে খানাসামা উপজেলায় বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর জয়গঞ্জ শালবাগান খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা একটি শিশুর মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা খানাসামা থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

খানসামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা নিহতের মরদেহের সুরতহাল করেছি। পরে পরিচয় সনাক্ত করে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমার রায় বলেন, শিশুটি নিখোঁজের পরে আমরা আশপাশের একটি থানায় খবর দেই। পরে খানসামা থানা পুলিশ এক শিশুর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আমাদের জানায়। পরে আমরা নিহত শিশুর পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলীকে নিয়ে খানসামা থানায় গিয়ে শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে শিশুটির লাশ নিজ এলাকায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দেই।

উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীটি দিনাজপুর সদর উপজেলার সরকারপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে আত্রাই নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: