আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা মণ, থাকবে ২৫-৩০ দিন

প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৬ পিএম

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে: আমের রাজ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেষ মুহূর্তেও জমে আছে আমের বাজার। এবার ভালো দাম পেয়ে লোকশান কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা। এ বছর প্রত্যাশার চেয়েও ভালো দামে আম কেনাবেচা হয়েছে। ফলে পুষিয়ে যাবে বিগত বছরের লোকসান বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভরা মৌসুমের মতোই এখনো জমে আছে এই আম বাজার। ডালিতে সাজিনো শত শত ভ্যানে সুস্বাদু আম নিয়ে বসে আছে বিক্রেতারা। আর শেষ মুহূর্তে আমের চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতারও যেন ঠাঁই নেই। আশ্বিনা প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে সাড় ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত। ভালো দাম পেলে বেশ খুশি আম চাষিরা।

উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের আম চাষি আসলাম আলী বলেন, আশ্বিনা আম নিয়ে বাজারে এসেছিলাম ৪৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলাম। এবার আমের দাম ভালো। গত কয়েকবছর থেকে আমে অনেক লোকশান হয়েছে। তবে এবার প্রায় সব জাতের আমের দাম ভালোছিল তাই অনেক লাভবান হয়েছি। আমার গাছে আরও প্রায় ৩০ মণ আম রয়েছে। আশা করছি এই বাজারে আরও ২৫ দিন আম থাকবে।

কানসাট বাজারে আম নিয়ে টিকরি বাজারের সলেমান আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের বাজার বেশ ভালো। আমরা কখনও আশা করতে পারিনি যে, আশ্বিনা আম ৫ হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পারব। বিগত দিনে আমের দাম না পাওয়ায় অনেক আমচাষী পানির দামে গাছে-পাতে আম বিক্রি করেছে। অল্প দামে বাগান কিনে অনেক ব্যবসায়ী এবার লাখ লাখ টাকা লাভ করেছে।

কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, সারাদেশেই আম শেষ হয়ে গেছে। তবে আমাদের এই বাজারে আরও ২০-৩০ দিন আম থাকবে। বর্তমানে আশ্বিনা আমটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। অন্য কিছু আম আসছে। তবে খুব কম। যেমন আজকে সকালে একটি গৌড়মতি আমের ভ্যান এসেছিল ১৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) রাজিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাতে সব থেকে বেশি আম উৎপাদন হয়। আর এই উপজেলায় অবস্থিত কনসাট আম বাজার। যা এখনো পুরোদমে চলছে। এই শেষ সময়ে এসেও প্রায় কানসাট আম বাজারে আশ্বিান, গৌড়মতি ও কাটিমন আম বেচাকেন হচ্ছে প্রায় ১৮-১৬ কোটি টাকার।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: