ঝিনাইগাতীতে দুই বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:১৭ পিএম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের একটি ঝোড়ার (পানি প্রবাহের নালা) নাম সাহাতি। ঝোড়াটি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডাকাবর এলাকা হয়ে উপজেলার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সরকারী বাসভবনের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে ধানশাইল ইউনিয়নের চাপাঝোড়া এলাকায় প্রবেশ করেছে। ঝিনাইগাতী সদর এলাকায় এ ঝোড়ার ওপর তৈরি কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে এবং একটি ইস্পাতের (স্টীল) সেতু মরিচা ধরে ভেঙে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি ইস্পাতের (স্টীল) সেতু। বর্তমানে জোড়াতালি দেওয়া ও নড়েবড়ে কাঠের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে স্থানীয়রা। যেকোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। জানা গেছে, উপজেলার সদর এলাকার সাহাতি ঝোড়ার একপাড়ে (উত্তর প্রান্তে) ত্রিশ থেকে ৪০টি পরিবার বসবাস করেন। তাদের চলাচলের সুবিধার্থে মোল্লাপাড়া সড়ক হয়ে এ ঝোড়ার ওপর প্রায় পাঁচ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দীর্ঘদিন হওয়ায় সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। অপরদিকে গত চার বছর আগে ঝিনাইগাতী- রাংটিয়া সড়ক হতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও শহীদ মিনার হয়ে এ ঝোড়ার ওপর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেই একটি ইস্পাতের (স্টীল) সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্ত নিম্নমানের ইস্পাত ব্যবহার করায় মাত্র দুই বছরেই মরিচা ধরে ভেঙে পড়ে যায়।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের সেতুটি নড়েবড়ে ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর কাঠগুলো পঁচে গেছে। স্থানীয়রা বাঁশের খুঁটি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। অপরদিকে সেতুর পশ্চিমপ্রান্ত ভেঙে খালে পড়ে আছে। ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মনোয়ারা বলেন, নড়েবড়ে ও জরাজীর্ণ কাঠের সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। ইস্পাতের (স্টীল) সেতুটি ভেঙে ওইখানে একটি সেতু করলে আমাদের কলেজে যেতে খুবই সুবিধা হতো।

স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের খেয়াল কেউ রাখে না। অনেক চাওয়ার পর একটি কাঠের সেতু ও একটি ইস্পাতের (স্টীল) সেতু নির্মাণ করে দিয়েছিল সরকার। এখন দুইটায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট দ্রুত দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল হক মনির বলেন, অনেক দিন ধরে ওই পরিবারগুলো চলাচলের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এখানে একটি সেতু নিমার্ণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, সম্ভবত এ সড়কটির আইডি নম্বর নেই, আইডি নম্বর থাকলে ওইখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো যেত। তবে সমস্যাটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: